নানাকথা : ব্রাহ্মণ কি প্রীই ? 88神 সনন্দ ৰে-সে ব্যক্তি দিতে পারেন না। যেমন যে-কোন ব্যক্তি ইচ্ছা মাত্রেই জজ, ম্যাজিষ্ট্রেট বা কনষ্টেবল হয় না, সেইরূপ যে-কোন ব্যক্তি ইচ্ছা করিলেই প্রীষ্ট হয় না। সমাজসম্মত একজন নিয়োগকৰ্ত্ত থাকেন ; তিনি যাহাকে ঐ পদে নিযুক্ত করেন, তিনিই প্রীষ্ট হন বা পুরোহিত হন। যে দিন হইতে নিযুক্ত হন, সেই দিন হইতে তিনি প্রীষ্ট, । যে দিন তিনি নিজে কাজে ইস্তফা দেন বা পদচ্যুত হন, সেই দিন হইতে তিনি আর প্রীষ্ট নহেন। রোমান ক্যাথলিকদের দেশে প্রীষ্ট নিয়োগের কর্তা পোপ স্বয়ং , ইংরাজদের দেশে রাজা স্বয়ং ; অন্যান্য দেশে সমাজসম্মত অন্যান্য কৰ্ত্তা আছেন। পোপের নিয়োগে বা রাজার নিয়োগে কেহ পৌরোহিত্য কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলে সাধারণকে তাহার পৌরোহিত্য স্বীকার করিয়া লইতে হইবে। যিনি যে চার্চের অন্তৰ্ভুক্ত, তিনি সেই চার্চের অধ্যক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত পুরোহিতের শাসন মানিতে বাধ্য ; নতুবা তিনি সে চার্চের অঙ্গীভূত নহেন। যেমন রাজনিযুক্ত ম্যাজিষ্ট্রেটকে মানিব না বলিলে চলে না, তেমনই যথাবিধানে নিযুক্ত পুরোহিতকে মানিব না বলিলে চলে না। সাধারণের পুরোহিত নিৰ্ব্বাচনে কোনরূপ স্বাধীনতা নাই । আমাদের দেশে পুরোহিত ব্রাহ্মণ ভিন্ন অন্যে হইতে পারে না ; কিন্তু যে-কোন ব্রাহ্মণ যখন ইচ্ছা পৌরোহিত্য অবলম্বন করিতে পারে। কাহারও সনদ আবশ্বক হয় না। যদি সনন্দ দরকার হয়, সে যজমানের । যজমান যাহাকে ইচ্ছা, পুরোহিতস্বরূপে গ্রহণ করিতে পারেন। পণ্ডিতকেও পারেন, মূৰ্খকেও পারেন ; ঋষিতুল্য লোককেও পারেন, গুলিথোরকেও পারেন ; এ বিষয়ে যজমানেব স্বাধীনতা অব্যাহত । তিনি কাহারও বাধ্য নহেন। তবে সাধারণতঃ পৌরোহিত্য বংশগত হইয়া থাকে, সে স্বতন্ত্র কথা । এ দেশে সকল ব্যবসায়ই বংশগত হইবার ব্যবস্থা। এ দেশে দেওয়ানের ছেলে দেওয়ান হয়, সরকারের ছেলে সরকার হইবার অধিকার রাখে ; একই বাড়ীতে সাত পুরুষ ধরিয়া কাজ করিতেছে, এরূপ পাচক, খানসামা, দরজী, ছুতার পর্য্যস্ত বিরল নহে। বাপের কাজ বেটাকে দেওয়াই এ দেশের গৃহস্থ লোকের ইচ্ছা ; তবে সে বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। গুরুর ছেলে গুরু, পুরোহিতের ছেলে পুরোহিত, নাপিতের ছেলে নাপিত, দরজীর ছেলে দরজী হইতেও পারেন, না হইতেও পারেন, সে গৃহস্থের ইচ্ছা। অনেক স্থলেই হইয়া থাকেন ; কোথাও বা হন না। তাহা হইলে খ্ৰীষ্টানী গ্ৰীষ্ট ও হিন্দুপুরোহিতের এইখানে অনেকটা বিভেদ। যে-কোন ব্ৰাহ্মণসস্তান যখন ইচ্ছা যাজনবৃত্তি গ্রহণ বা ত্যাগ করিতে পারেন – স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া, অন্তকর্তৃক নিয়োগের বা সনন্দের প্রয়োজন হয় না। কোন সমাজসম্মত প্রভুশক্তির নিকট বাহাল বরতরফের আবশ্বকতা নাই। পুরোহিত স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বাধীন মহন্ত ; যাহাকে ইচ্ছ, তিনি যজমান স্বীকার করিতে পারেন, নাও পারেন। যজমানও এ স্বলে সম্পূর্ণ স্বাধীন ; যাহাকে ইচ্ছা, পুরোহিত গ্রহণ করিতে পারেন ; কেহ তাহাকে এ বিষয়ে বাধ্য করেন না। ইচ্ছামত পুরোহিত নিৰ্ব্বাচন করিলে তিনি সমাজভ্ৰষ্ট হয়েন না। খ্ৰীষ্টান প্রষ্টের এই স্বাতন্ত্র্য নাই। ইংলিশ চর্চের অন্তভুক্ত কোন গৃহস্থ রাজনিযুক্ত পুরোহিতের শাসন স্বীকার না করিলে তিনি ইংলিশ চার্চ পরিত্যাগে বাধ্য হন। এ দেশের সেরূপ চার্চও নাই, সেরূপ বাধ্যবাধকতাও নাই।
- ब्लाँ+-२ هيد