পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গণেশপ্রসঙ্গ 8 &Ꮔ অতএব স্বীকাৰ্য্য যে, যাজিকী উপনিষদের সময়ে বক্রতুও মহাদস্তদেবতার পূজা প্রচলিত এবং ইহার সহিত মহাদেবের সম্বন্ধও স্থাপিত হইয়াছিল। এখন যাঞ্জিকী উপনিষদের কাল লইয়া তর্ক চলিতে পারে। মোক্ষমূলর এককালে বলিয়াছিলেন, আরণ্যকসমৃহ স্থত্ররচনার পূর্ববৰ্ত্তী, অর্থাৎ তাহার মতে ৬০° পূ: খ্ৰীষ্টাব্দের পূর্ববর্তী। এ কালের মতে বৈদিক সাহিত্যের কাল আরও পিছাইয়া গিয়াছে। তৈত্তিরীয় অরণ্যকের প্রাচীনত্বে সন্দেহ করিবার কারণ নাই। কিন্তু যাজিকী উপনিষদের প্রাচীনত্বে কিছু সন্দেহ আছে। ঐ উপনিষৎ আরণ্যকের মধ্যে ‘খিলরপ বা পরিশিষ্টভাগ বলিয়া প্রসিদ্ধ। উহার পূর্ববর্তী তিন প্রপাঠক অর্থাৎ তৈত্তিরীয় আরণ্যকের সপ্তম, অষ্টম ও নবম প্রপাঠক তৈত্তিরীয় উপনিষৎ নামে গণ্য । তৈত্তিরীয় উপনিষদের শঙ্করাচাৰ্য্য ভাষ্য লিখিয়াছেন, তৎপরবর্তী যাজ্ঞিকী “উপনিষদের লিখেন নাই । তৈত্তিরীয় উপনিষদে ও যাজিকী উপনিষদে আকাশ-পাতাল ভেদ । পাতা উন্টাইলেই ভেদ স্পষ্ট দেখা যায়। যজ্ঞিৰী উপনিষৎকে ব্রহ্মবিদ্যা বলাই কঠিন, উহা মন্ত্রতন্ত্রে পরিপূর্ণ , পাঠের সময় মনে হয়, বেদ পড়িতেছি না, তন্ত্র পড়িতেছি। সায়ণাচার্য্যের সময়ে দ্রাবিডদেশে চলিত যজ্ঞিকী উপনিষদে চৌষটি অতুবাক বৰ্ত্তমান ছিল। অন্ধ্রদেশে আশী, কর্ণাটে চুয়াত্তর, অন্যত্র উননব্বই অনুবাক প্রচলিত ছিল। কাজেই বুঝা যাইতেছে, কালক্রমে প্রক্ষিপ্ত অংশ বাডিয়া গিয়াছে। সায়ণ স্বয়ং দ্রাবিড়াতুযায়ী চৌষট্টি অন্সবাকের ভাষা করিয়াছেন। সন্দেহের এই সকল কারণ থাকিলেও যখন যাঞ্জিকী উপনিষৎ বহুকাল হইতে অপৌরুষেয় শ্রুতিবাক্য বলিয়া গৃহীত হইয়া আসিতেছে, তখন ইহা খ্ৰীষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর তুলনায় বহু প্রাচীন, তাহাতে সন্দেহ করা যায় না। (‘বঙ্গদর্শন, ফাল্গুন ১৩১৭) । গণেশপ্রসঙ্গ দেখিতেছি, আমার অনুসন্ধানের সুযোগ্যতাটুকু ব্যতীত অন্য বিষয়ে লেখক মহোদয়ের সহিত আমার মতভেদ যৎসামান্য । নারায়ণোপনিষণেব তারিখটা ঠিক হইলেই গণেশ ঠাকুরের বয়সের কতকট। কিনার পাওয়া যায়। লেখক মহাশয়ের মতে ঐ উপনিষৎখানি খ্ৰীষ্ট্রের অন্তত আট শত বৎসর পবের । অসম্ভব নহে। ঐ উপনিষৎখানি পডিয়া আমার যত দূর ধারণা হইয়াছে, তাহার উপর লেখক মহাশয়ের প্রদত্ত প্রমাণগুলি চাপাষ্টয়া ও উহা যে গ্রীষ্টের আট শত বৎসর পূর্কের হইতেই পারে না, তাহাও আমি শপথ করিতে প্রস্তুত নহি। কাজেই হাজার দেড়েক বৎসর উভয়ের মধ্যে তফাত দাড়ায়। ভারতবর্যের পুরাতত্ত্বের বিচারে হাজার দেড়েক বৎসরের তফাত ধৰ্ত্তব্যই নহে। কাজেই আমাদের মতভেদ যৎসামান্ত । লেখক মহাশয়ের অবলম্বিত বিচারপ্রণালী কিঞ্চিৎ আশাঙ্কাজনক। গণপতি ঠাকুর অৰ্ব্বাচীন ; অতএব যে গ্রন্থে র্তাহার উল্লেখ আছে, তাহা অৰ্ব্বাচীন ; অতএব ঐ অৰ্ব্বাচীন গ্রন্থে যে গণেশ্বঠাকুরের উল্লেখ দেখা যায়, সে ঠাকুরও অর্ধার্চ,ন। এই