tァ輸 রামেঞ্জস্বন্দর রচনাসমগ্র o ব্রজমণি,” এই সকল স্থলে এ এবং তে’ বিভক্তিযুক্ত পদগুলিকে কোন কারক বলিব ? উহারা স্পষ্টতঃ করণের লক্ষণেও আসে না । কোন-কোনটা ক্রিয়ার বিশেষণের মত দেখায়, কিন্তু খাটি বিশেষ পদকে বিশেষণ বলাও দায়। সাননো ভোজন করে এখানে স ন নদ কে ক্রিয়ার বিশেষণ বলা চলিতে পারে, কিন্তু অ ! ন নেদ ভোজন করে’ বাঙ্গালায় তুল্যমূল্য হইলেও অ ন ন শব্দকে বিশেষণ বলিতে গেলে পণ্ডিতেরা লাঠি তুলিবেন । নিতাস্ত কষ্টকল্পনা করিয়া কোনটাকে করণ, কোনটাকে অধিকরণ বলা চলিতে না পারে, এমন নহে। কিন্তু এত ক্লেশের প্রয়োজন কি ? y . ফলে বাঙ্গালায় ঐক্লপ কষ্টকল্পনার দরকার নাই ; কোন বাধাবাধি নিয়ম বাঙ্গালায় চলিবে না। এই মাত্র বলিলাম, ক্লে শের প্রয়োজন কি ? এখানে প্রয়োজনার্থক শবের যোগে বাঙ্গালায় সম্বন্ধস্থচক বিভক্তি র’ বসিয়াছে। কিন্তু ক্লে শে প্রয়োজন কি ?’ বলিলেও বাঙ্গালায় কোন দোষ ঘটিত না । এখানে এ’ বিভক্তি দেখিয়} উহাকে অধিকরণ বলিব না কি ? উত্তর দেওয়া কঠিন। কাজেই বাঙ্গালায় ঐক্লপ অঁাটার্তাটি চলিবে না । আমার বিবেচনায় বাঙ্গালায় করণ ও অধিকরণ দুইটা কারকে ভেদ রাখিবার প্রয়োজন নাই। দুয়েরই-বিভক্তি-চিহ্ন সমান ; সৰ্ব্বত্র অর্থভেদ বাহির করাও কঠিন। দুইটাকে মিশাইয়া একটা নূতন কারক, নূতন নাম দিয়া প্রচলন করা যাইতে পারে। এমন কি, যে সকল স্থলে অর্থ ধরিয়া করণ বা অধিকরণ, এই দুই শ্রেণীর মধ্যে ফেলিতে পারা যায় না, অথচ বিভক্তির রূপ তৎসদৃশ, সেই সকল স্থলেও এই নৃতন কারকের পৰ্য্যায়ে ফেলা চলিতে পারে। কৰ্ত্ত ও কৰ্ম্ম ব্যতীত আর যে সকল পদের সহিত ক্রিয়ার অন্বয় আছে, এবং যাহারা উক্তরূপ বিভক্তি গ্রহণ করে, তাহারা সকলেই এই নূতন কারকের শ্রেণীতে পড়িবে। তাহাদের মধ্যে আর স্বক্ষ বিভাগ কল্পনা করিয়া ইতরবিশেষ করা নিম্প্রয়োজন। ইংরেজী হিসাবে বলিতে গেলে প্রত্যেক predicate (AR GEBI subject "Tā, একটা object থাকিতেও পারে এবং তদ্ভিন্ন বিবিধ adjunct থাকিতে পারে। ক্রিয়ার আনুষঙ্গিক এই adjunctগুলি ক্রিয়ার সহিত অম্বিত হইলে এ বা তে’ বিভক্তি গ্রহণ করে ; তা করণই হউক, আর অধিকরণই হউক, আর ক্রিয়ার বিশেষণের অর্থযুক্তই হউক। কৰ্ম্ম ও কর্তা ব্যতীত আর যে সকল বিশেষ্যপদ ক্রিয়ার আশ্রয়ে থাকে, তাহাদিগকেও ঐ বিভক্তির খাতিরে এই নৃতন কারকের কোঠায় ফেলা যাইতে পারে। ইহার নামকরণ আমার সাধ্যাতীত। পণ্ডিতেরা আমার প্রস্তাব মঞ্জুর করিলে নামের জন্য আটকাইবে না। যে সকল পদ এ’ আর তে’ বিভক্তি গ্রহণ করে, তাহারা কোন-না-কোন রূপে ক্রিয়াটিকেই অবলম্বন করিয়া থাকে ; ক্রিয়াটার কোন-না-কোন বিশিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়। ‘ঘ রে চল, “বি ছা না য় শোও,’ ’হা তে লও,’ ‘কা নে শোন,’ ‘ছু রি তে কাট,’ ‘দ f ড় েত বঁধি, স্ব খে ঘুমাও, ‘অ ন দে নাচ, সঙ্গে চল,” ‘হ তণী তে যাবেন, এই সমুদয় দৃষ্টাস্তে বিভক্ত্যস্ত পদটা ক্রিয়াকে কোন-না-কোন প্রকারে ব্যাখ্যাত করিতেছে। উহাদের মধ্যে স্থল্ম ভেদ আনিবার প্রয়োজন নাই। উহাদিগকে কারক বলিতেই হইবে ; কেন না, ক্রিয়ার সহিত উহাদের সাক্ষাৎ
পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।