|o e রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র মত ক’, ত’, এবং দি’—এই কয়টি চিহ্নে যুক্ত হইয়া বাঙ্গালায় সমুদয় বিভক্ত্যন্ত পদ নিম্পন্ন করে । পরিশিষ্ট [ সম্প্রতি বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের পুথিশালার অধ্যক্ষ শ্রযুক্ত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় আমার অনুরোধক্রমে বাঙ্গালা বিভক্তি-চিহ্নের বহু দৃষ্টান্ত প্রাচীন সাহিত্য হইতে সংগ্ৰহ করিয়া দিয়াছেন। বসন্ত বাবুর নিকট এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। বসন্ত বাবু প্রাচীন বাঙ্গালা সাহিত্যের অতি গভীর আলোচনা করিয়াছেন ; তাহার মতামত পাঠকগণের উপাদেয় হইবে বুঝিয়া তাহাব মন্তব্যটুকু আমি তাহার অনুমতিক্রমে অবিকল প্রকাশ করিলাম।—আশ্বিন, ১৩২৩ ] প্রথমা—প্রথমার একবচনে এ' বা ই’ প্রত্যয় এবং প্রত্যয় লোপ মাগধীর অনুরূপ । উদাহরণ,— পাপ ছঠঠ ক ং সে তাক সবই মারিব।—কৃষ্ণকীর্তন * শুনিয়ার জ। এ বোলে হইয়া কৌতুক।—সঞ্জয়ের মহাভারত কোন মতে বি ধ + ত + এ করিছে নিৰ্ম্মাণ —রামেশ্বরী মহাভারত কহিলো মে ৷ ই সকল তোহ্মার ঠাঁ এ —কৃষ্ণকীৰ্ত্তন ভ্র হি কাম ধৰ্ম্ম নয়ন বাণে ।—কৃষ্ণকীর্তন [ श्=िझे ] স্ব' প্রত্যয় পরে থাকিলে প্রাকৃতে ইকারান্ত ও উকারান্ত শব্দের অস্ত্য স্বর দীর্ঘ হয় ; যথা—মুনী, প ত7, বা উ, গু রূ প্রভৃতি। বাঙ্গালা সাহিত্যেও এইরূপ পদের প্রয়োগ দেখা যায়। উদাহরণ,— ধিক জাউ নারীর জীবন দহে পন্থ তার পতী —কৃষ্ণকীৰ্ত্তন হেনই সম্ভেদে নারদ মুনী আসিঅর্ণ দিল দরশনে ॥ —কৃষ্ণকীৰ্ত্তন মাগধীর অনুরূপ হনুমন্তা', 'নাতিআ ইত্যাকার পদও দৃষ্ট হয়, যথা রাম কাজে হ তু মস্ত । তেহেন আহ্মার দূত । —কৃষ্ণকীৰ্ত্তন দেখিল লগুড় করে না তি আ কাহাঞি —কৃষ্ণকীৰ্ত্তন প্রাকৃতে দ্বিবচন নাইও । সম্ভবতঃ সেই হেতু বাঙ্গালাতেও নাই। বহুবচনে নির্দিষ্ট বিভক্তির অভাব পরিলক্ষিত হয়। গণ, সব, স ক ল, য ত প্রভৃতি শব্দের যোগে বহুবচনের অর্থ প্রকাশিত হইত। শূন্তপুরাণ, চণ্ডীদাসের পদাবলী, কৃত্তিবাসী রামায়ণ প্রভৃতির পুথিতে মুর , আ ম র , তো ম র , তা র । ইত্যাদি পদের প্রয়োগ পাওয়া যায় ; কিন্তু পুথির অপ্রাচীনত্ব হেতু ওগুলিকে প্রাচীন বলা চলে না। পরিষদের পুথিশালায় সংগৃহীত প্রাচীনতম গ্রন্থ কৃষ্ণকীৰ্ত্তনের তিনটি মাত্র স্থলে রা’ দিয়া বহুবচনের পদ পাওয়া গিয়াছে ; যথা— (১) 'অত ইযেতে লুক চ'-প্রাকৃতপ্রকাশ, ১১।১• (২) 'মুভিস্রুপম দীর্ঘ —প্রাকৃতপ্রকাশ: ৫১৮ SGS SDDBBB BBDDDSBS YS gggS DDD BDDSgS BBBS BBB
পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।