পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৯৯

শব্বকথা : কারক-প্রকরণ 动组 যা ব ন , ইহাই সম্পূর্ণ উত্তর ; কিন্তু যেন গায়ে বল পাইবার জন্য বলা হয়, ‘ন , আমি য ব ন । ক’। বাঙ্গালার এই ক' কোন মুলুক হইতে আসিয়াছে, স্বধীগণ বিবেচনা করিবেন । হয়ত ইহা স্বার্থে ক' । উপরে দত্ত দৃষ্টান্তগুলির সর্বত্ৰ ন । ক্রিয়ার পরে বসে। কিন্তু স্থলবিশেষে আগে বসিতেও আপত্তি নাই। আমি কি জানি না ? প্রশ্নকৰ্ত্তার জ্ঞানে যে ব্যক্তি সংশয় করে, তাহার উপর এই প্রশ্নের চাপ দেওয়া হয়। প্রশ্নকৰ্ত্ত সংশয়কারীকে জোরের সহিত বলেন, “আমি কি ন । জানি!' অথবা ‘আমি ন ৷ জানি কি !—ইহার অর্থ,আমি সমস্তই জানি। আবার কখনও বা ঈষৎ ব্যঙ্গের সহিত বলা হয়, ‘আমি ন জানি, তুমি ত জান। এই সকল দৃষ্টান্তে ন । ক্রিয়ার পরে না বসিয়া পূৰ্ব্বে বসিয়া থাকে। সংশয়, অনিশ্চয় প্রভৃতি গোলমেলে ভাবের সহকারে ন । ক্রিয়ার আগে বসিতে চায় ; যথা, তিনি যদি না যা ন, আমি যা ব ; তিনি না খান, আমি খাব। অনিশ্চিত ক্রিয়ার ফল বিরক্তি অথবা অভিমান ;–যথা, ন 1 হয়, না হবে ; ন | ষ ন, ন i যা বেন। বিরক্তি বা অভিমান একটু উচ্চ মাত্রায় উঠিলে না একটা ই-কার ডাকিয় লয়,—ন । যা ন, ন i ই ব 1 গে লেন ; ন i খ নি, ন i ই द ] cथं ६ व्ज़ न ! বলা উচিত, এই না ই গে লে ন এর না ই এবং যা ন ন i ই এর না ই ঠিক এক না ই নহে। না ই গে লে ন বস্তুত: না-ই গেলেন। এখানে ই একটা পৃথকৃ শব্দ, সম্ভবতঃ সংস্কৃত হি হইতে উৎপন্ন। উহা না’কে বলবত্তর করে। আর ‘ষ ন ন i ই এই দৃষ্টান্ত ন rর পরবর্তী ই না’র সঙ্গে একেবারে মিশিয়া আছে ; উহাকে ছাড়াইয়া লইবার উপায় নাই। ন । ক রি বা র জন্য, না দে ও য় t র ইচ্ছা, ন । ষা ই তে যা ই তে, ন । দি য় , ন 1 বলি য় , ন চড়ি তে এ ক ক ধি ইত্যাদি স্থানে না'-কে বাধ্য হইয়া ক্রিয়ার পূর্বে বসিতে হইয়াছে। সে কেবল স্থানাভাবে। বল । চেয়ে না ব ল ৷ ভাল,—এখানেও তদ্রুপ । এ পর্য্যন্ত ন ”ির যত প্রয়োগ দেখা গেল, উহা সৰ্ব্বত্র ক্রিয়াকে পণ্ড করে। ন । একাই ক্রিয় পও করিতে সমর্থ। যা বে ? এই প্রশ্নের উত্তরে য ব ন , এত দূর বলার দরকার নাই ; ঘাড় নাড়িয়া শুধু ‘ন 1 বলিলেই যথেষ্ট ; ভাৰী ক্রিয়া ইহাতেই পণ্ড হইল। বুঝিয়া লইতে হইবে, এখানে না’র ষোল আনা অর্থ যা ব ন । ন । যখন একটা বিসর্গযুক্ত হইয়া সবলে নাসিকা হইতে নিৰ্গত হয়—যেমন না ঃ, যে তে ই হ’ল ; অথবা ন f :, যা ব ন ,—তখন বুঝিতে হইবে ষে ঐ বিসর্গযুক্ত ন ৷ পূৰ্ব্ববর্তী সংশয় বিতর্ক আলোচনা আন্দোলনের চূড়ান্ত মীমাংসা ; কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে যা কিছু সংশয় ছিল, তাহ সমূলে বিনষ্ট করিয়া একবারে চরম মীমাংসায় আসা গেল। “জগংটা কিছু না :” বৈরাগীর এই গায়ের জোরে মীমাংসার কাছে তাকিকের দার্শনিক মীমাংসা নিতান্তই দুর্বল । ইহ সংশয়বাদ নহে, একবারে নাস্তিবাদ। - এ পর্য্যস্ত না’ কে ক্রিয়ানাশী ক্রিয়ার বিশেষণরূপে পাইয়াছি। কিন্তু উহ ৰজরও বিশেষণ হয়, বিশেষণেরও বিশেষণ হয়। যথা—না ট কৃ, ন i-মি ষ্ট ;