পাতা:রামের অরণ্য-যাত্রা.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ e 2 অরণ্য-যাত্রা । আদেশে অভিষেক-সভা সজ্জীকৃত হইল, অমাত্য ব্রাহ্মণ ও রাজন্যগণ যথাস্থানে উপবেশন করিলেন, নাগরিক ও অন্যান্য লোক সকল অভিষেক দর্শনার্থ সাভিশয় কুতুহলী হইয়া উপস্থিত হইল। অনন্তর ভরত, বশিষ্ঠের আজ্ঞাক্ৰমে ভ্রাত্তীর সহিত সত্তঙ্গনে প্রবিষ্ট হইলে প্রজাগণ বিজয়ধ্বনি করিয়া উঠিল ; বন্দীগণ আনন্দে স্তুতি সঙ্গীত আরম্ভ করিল । ভরত এই সমস্ত দর্শনে অধিকতর শোকীৰ্ত্ত হইলেন এবং “আমি ভোমীদিগের রাজা নহি, সেই জটাকেীপীন-ধারীই এ রাজ্যের অধিকারী” এই কথা বলিয়া সকলকে নিৰ্বত্ত করিয়া, গুরু-চরণে প্রণাম করিলেন । বশিষ্ঠ মধুর স্বরে তরতের সম্বৰ্দ্ধনা করিয়া কহিলেন, বৎস, তোমার পিতা যাবজ্জীবন সনাভন রাজধৰ্ম্ম পালন করিয়া তোমাকে রাজ্য দিয়া স্বর্গে গমন করিয়াছেন । সত্যপরায়ণ রাম পিতার আল্লা পালনার্থ বনবাসী হইয়াছেন, রাজ্য রাক্ষার ভার ভোমার উপরেই অৰ্পিত হইয়াছে ; প্রজাগণ কৃষ্ণপক্ষান্তে চন্দ্র-কলার ন্যায় 'ভোমীর মুখ চাহিয়৷ রহিয়ছে । অতএব ভুমি যথাবিধানে অভিষিক্ত হইয়। বহু রত্ব পূর্ণ এই বিস্তীর্ণ রাজ্যের রক্ষ বিধান কর । তরভ গুরুর বচন শ্রবণ করিয়া সবাষ্প-কণ্ঠে কহিলেন, ঋষিবর, আপনি কিরূপে এরূপ অজ্ঞা করিতেছেন ? আমি সেই ধীমান ধৰ্ম্মবৎসল ব্রহ্মচারীর রাজ্য কি বলিয়। হরণ করিব ? আমি দশরথের পুত্র হইয়৷ কি রূপে রাজ্যাপহরণ পাপে আত্মণকে কলঙ্কিত করিব ? এই বিস্তীর্ণ কোশল রাজ্য, এই প্রকৃত্তিবর্গ, এই অমাতাগণ, এই সিংহাসন ও অামার মাত্ম পৰ্য্যন্তও সেই