পাতা:রামের অরণ্য-যাত্রা.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 আরণ্য-যাত্রা । ন্তে ও কাহীর হিংসা করেন না, কাহীকে ও কোন অপ্রিয় কথা কহেন না, এবং কণান ত্র উপকুত হইলে চিরকৃতজ্ঞ হইয় থাকেন, সেই নিখিললোক-ললামভূত পরমপুণ্যচেতা প্রিয়তন রামচন্দ্রকে “ তুমি বনে যাও” ঈদৃশ ঘোর হিংসাপূর্ণ কৃতঘ্ন অপ্রিয় কথ। আমি কিরূপে বলিব । দেখ, আমি বুদ্ধ হইয় ছি, চরম সময় উপস্থিত প্রায়, অভিকাতর হইয় পুনঃপুনঃ প্রার্থনা করিতেছি, আমার প্রতি তোমার করুণ করা কর্তব্য । এই সসাগর। ধরারাজ্যে যত বস্তু আছে সমস্তই দিতেছি, তুমি আমার মৃত্যুকামনা করি ও না, তামি অঞ্জলি বন্ধ করিতেছি, ভোমীর পীয়ে ধরিতেছি, নি ভাস্ত শরণীগত হইয়াfছ, তুমি আমাকে পাপৰূপে নিপত্তিত করিও না। নিৰ্ম্মল সুর্য্যবংশকে চির কলঙ্কিত করিতে বিরত হও । রাজা দশরথ এইরূপ বিলাপ করিলে, কৈকেয়ীর অন্তঃকরণে কিছুমাত্র লজ্জা, কিছুমাত্র ভয়, বা কিছুমাত্র করুগর সঞ্চার হইল না ; বরং তিনি অধিকতর প্রচণ্ডস্বরে কহিলেন, মহারাজ ! তুমি পূর্বে বর দিয় ও সভা বন্ধ করিয়৷ যদি এখন কাপুরুষের ন্যায় অম্লতাপ কর, জনসমাজে ধাৰ্ম্মিক বলিয়। কিরূপে প্রতিপন্ন হইবে । যখন সমস্ত রাজর্ষিগণ একত্র হইয়। তোমাকে আ ম র বিষয় জিজ্ঞাসা করিবেন, তখন র্ত হৈ দিগকে কি উত্তর দিবে ? বোধ হয়, এই উত্তরই দিতে হইবে যে, যে কৈকেয়ীর প্রসাদে আমীর জীবনরক্ষ হইয়াছে, যাহা হইতে আমি ঘোর সঙ্কটে পরিত্রাণ পাইয়াছি, তাহার নিকট অঙ্গীকণর প্রতিপালন করি নাই ; ইহা ছাড়। তোমার আর কি বলিবার অাছে । আর ভোমার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গে কি