পাতা:রামের অরণ্য-যাত্রা.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bo অরণ্য-যাত্রা । সীতাকে অবিরত রোদন করিভে দেখিয়া, অমি কখনইত জীবন ধারণ করিতে পারিব না । যেমন হরিণগণ কপট বTধদিগের সঙ্গীভ-রবে মুগ্ধ ও জলনিবদ্ধ হইয় বিনষ্ট হয়, তোমার মধুর বাক্যে আমিও সেইরূপে বিনষ্ট হইলাম। হায় ! আমি কাচমূল্যে অমুল্য চিন্তামণি বিক্রয় করিলাম ! একটা সামান্য নারীর সুখের নিমিত্ত জগতের যাবতীয় লোকের মুখের মূলোৎপাটন করিলাম ! তোমাকেই ব৷ কি দোষ দিব। এসমুদায় অামার পুৰ্ব্বকৃত পাপেরই পরিণাম । আমি মহাপাতকী ন৷ হইলে “ রামকে বনবাসী কর” এই কথা কিরূপেই ক্ষমা করিলাম ; রে পাপীয়সি ! আমি আমেীদে অন্ধ হইয়। এতকাল তোমাকে মৃতু্য বলিয়। চিনিতে পারি নাই । আমি অজ্ঞান বালকের ন্যায় নিজ করে, কৃষ্ণসপ ধারণ করিয়ছি । হায় ! মহাত্মা রামচন্দ্রকে নিৰ্ব্বাসিত করিলে আমার নিন্দার অ্যর সীমা থাকিবে না । সকলেই বলিবে “ দশরথ অতি মুখ, অতি নরাধম ও অত্যন্ত কামাত্মা, যে একট। স্ত্রীর অনুরোধে নিরপরাধে প্রিয়পুত্রকে বিবাসিত করিল ।” অtহ ! রাম অীমার কথায় দ্বিরুক্তি মাত্র করিবেন না । “বনে যাও’ বলিলে বৎস তৎক্ষণাৎ বনে প্রস্থান করিবেন । ফলতঃ রাম এ বিষয়ে যদি সামার এতিকূলাচরণ করেন তাহ হইলেই মনে মত কার্য্য হয়, কিন্তু সরলাশয় পুত্র আমার মনোগত ভাব বুঝিতে পরিবেন না । রে নীচে কৈকেয়ি ! তোমার রাজ্যলোক্তে কেবল রামেরই বিবাসন ও তন্মাত্ৰ পাপীচরণ হইতেছে ন, রাম বিবাসিত হইলে উrহার একান্ত ভক্ত লক্ষ্মণ সেই সঙ্গে সঙ্গেই বিবাসিত হইবেন । পুত্রদ্বয়ের নিৰ্ব্বাসনে