পাতা:রামের অরণ্য-যাত্রা.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

戈8 অরণ্য-যাত্রা। কহিলেন, বৎস রাম ! তুমি অণর বিলম্ব করিও না, এখনই বনগমন কর । ধীমান রাম উtহার তথাবিধ নিষ্ঠুর ব্যগ্রভাব দেখিয়া বলিলেন, মাতঃ, চিন্তু করিবেন না, প্রাণপৰ্য্যন্ত পরিত্যাগ করিয়াও আমি মহারাজের ইন্টানুষ্ঠান করিব । পিতার শুশ্ৰুষা ও পিতার অজ্ঞা পালনের ন্যায় প্রধান ধৰ্ম্ম অীর নাই ; অতএব আমি জননীর নিকট বিদায় লইয়া সীতাকে বলিয়। এই দণ্ডেই দণ্ডকারণ্যে যাত্রা করিব ; এখন ভরত যাহাঁতে পিতার শুশ্রীষী ও রাজ্যের রক্ষণবিধান করেন আপনি তাহা করিবেন । রাম এই কথা বলিয়। র্ত হাদিগের চরণে প্রণাম করিলে, দশরথ উচ্চৈঃস্বরে রোদন • করিয়া উঠিলেন । তখন রাম উtহাদিগের উভয়কে ভক্তিভাবে প্রদক্ষিণ করিয়া তথা হইতে বহির্গত হইলেন । ভ্রাতৃবৎসল লক্ষ্মণ দ্বারে দণ্ডায়মান ছিলেন, তিনি সমুদায় অবগত হইয়। অশ্রুপূর্ণ-নয়নে রামের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন, এবং রাম বিন জীবন ধারণ করিতে পরিবেন না স্থির বিবেচনা করিয়| মনে মনে বনগমনে কৃতনিশ্চয় হইলেন । অনন্তর রাম রাজভবন হইতে বহির্গত হইয়া ছত্রধর, চামরধর, সহচর, ও ভূতাদিগকে অমুসরণ করিতে নিষেধ । করিলেন এবং রথ পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক ধীরান্তঃকরণে মত্তার ভবনাভিমুখে মন্দমন্দ গমন করিতে লাগিলেন । যেমন কলাক্ষয়ে চন্দ্রের রমণীয়তার অপচয় হয় না, তদ্রুপ তত্ত নৈরাশ্য ও তত বিপদেও রামের বদন স্ত্রীর কিছুমাত্র মানি হয় নাই । ফলতঃ রামচন্দ্রের অন্তঃকরণ এভ উন্নভ ছিল যে সাংসারিক ঘটনার পরিবর্তনে উiহার প্রাকু