পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । సిన আমাকে স্নেহমধুরসম্ভাষণে আহ্বান করিবেন । কে আমাকে ৰাৎসল্যভাব-পূরিত কর দ্বারা স্পর্শ করবেন। বিপৎপাৎ হইলে, আমি কাহার নিকট গিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিব । বৎস বলিয়া আর কে আমাকে সম্ভাষণ করিবেন । হায় ! আমি কি হতভাগ্য । সস্তান হইয়া, অন্তিমকালে পিতার কোন কাৰ্য্যই করিতে পারিলাম না । হায় ! কি আক্ষেপের বিষয় । চরমসময়ে একবার পিতার সহিত সাক্ষাৎ পয্যন্তও হইল না । এইরূপ বহু বিলাপ করিয়া, ভরত পরিশেষে চক্ষের জল মার্জন পূর্বক কছিলেন, মাতঃ ! কি কালব্যাধি পিতাকে আক্রমণ করিয়াছিল ? কৈকেয়ী পুত্ৰসমীপে, আদ্যোপান্ত মহারাজের মৃত্যুর কারণ বর্ণন করিয়া কছিলেন, বৎস ! আমি কত ষড়যন্ত্র করিয়া তোমার নিমিত্ত রাজ্যরক্ষা করিয়াছি। এক্ষণে শোকসংবরণ পূৰ্ব্বক, রাজ্যভার স্বহস্তে গ্রহণ কর । তোমাকে রাজাসনে আসীন দেখিয়া, আমার চক্ষু পরিछूॐ इउँक् । একে পিতৃশোকে ভয়ত অতীব কাতর হইয়াছিলেন, তাহাতে আবার এইরূপ অতর্কিত রামনিৰ্ব্বাসনের কথা শুনিবামাত্র কম্পিতকলেবর হইয়া, হা হতোহম্মি, বলিয়া ভূতলে পতিত ও মুচ্ছিত হইলেন। পিতৃশোক অপেক্ষ তাহার ভ্রাতৃবিয়োগশোক শতগুণে তাপজনক হইল । ক্ষণকাল পরে সংজ্ঞালাভ হইলে, তিনি কিংকৰ্ত্তব্য-বিমূঢ় হইয়া, কিয়ৎকাল শূন্যনয়নে কৈকেয়ীর মুখ নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। অনন্তর সহসাউন্ডতরোভরে জননীকে বহু তিরস্কার ও ভৎসনা করিয়া সবিষাদে কহিতে লাগিলেন,আমি জন্মাস্তরে কত পাপসঞ্চয় করিয়াছিলাম, তাহাতেই এমন রাক্ষসীর দন্ধোদরে জন্মগ্রহণ করিয়াছি । আমার জীবনে ধিক । আমি এখনও