পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ রামের রাজ্যাভিষেক । , জীবিত রহিয়াছি। আমার কেন এই মুহূৰ্বেই মৃত্যু হইল না ? হা গুণাকর রঘুবীর । এই হতভাগ্যের জন্যই আপনার যত দুৰ্গতি ঘটিয়াছে। এই মন্দভাগ্যই আপনার সকল অনর্থের মূল। হায় ! আমি যদি জন্মগ্রহণ না করিতাম, তাছা হইলে আর এবস্তৃত বিষম अनर्थ गरदक्लिड इहेड न। शग्न इनि जूमि? इंश्यामाजहै आमाबू मूड्र হইত,তাহা হইলে আর আযাকে এরূপ অভূতপূৰ্ব দুঃখাবে পতিত হইতে হইত না। হা মাত ! তুমি মুহূৰ্ত্তকালের মধ্যে কি এক অতিমহান অনর্থম্রোত প্রবাহিত করাইয়াছ । জগতে তোমার এ অপযশ, চিরস্থায়িক্ৰপে দেদীপ্যমান রহিল । তুমি যে রাজ্যের লোভে এই বিষমকাণ্ড করিয়াছ, সে রাজ্যে আমার প্রয়োজন নাই। এ যাহার রাজ্য, আমি তাঁহাকে সিংহাসনে বসাইয়া, সূয়ং যাবজ্জীৱন প্রভুপরায়ণ ভূত্যের ন্যায় তাহার চরণসেবা করিব । হা অায্য রামচন্দ্ৰ ! হা আয্যে সীতে ! হা অনুজ লক্ষ্মণ! তোমরা রাজভবন শূন্য করিয়া কোথায় গমন করিয়াছ। এখানে পিতৃদেব তোমাদের বিয়োগে কাতর হইয়া, প্রাণত্যাগ করিয়াছেন । হায় ! হায় ! যাহা হইতে পিতার মরণ, অগ্রজের নিৰ্ব্বাসন, রাজ্যের অরাজকতা ও প্রজাপুঞ্জের দীনত হইয়াছে, সেই পাপীয়সীর গর্ভজাত বলিয়া, সকলে আমাকে কত নিন্দ, কত ঘৃণা করিতেছে । কি সৰ্ব্বনাশ ! কেমন করিয়াই বা জনসমাজে এ মুখ দেখাইব । এ লোকাপবাদ চুনিবার হইয়া উঠিয়াছে। এই বলিয়া ভরত, উচ্চৈঃস্বরে রোদন ও অনিবায্য বেগে অশ্রুবিসর্জন করিতে লাগিলেন । ভরতের ক্ৰন্দন শব্দ প্রবণ করিয়া, বশিষ্ঠদেৰ ত্বরায় অন্তঃপুর মধ্যে প্রবেশ করিলেন ; এবং তৎসমীপে উপস্থিত হইয়া, মুক্তিমান জ্ঞানরাশির ন্যায়, গম্ভীরসরে কছিলেন, রাজকুমার ! রোদন সংবরণ