পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बर्छ अब्रिुङ्गे । ఎ లి তাহার কোন মতেই অভিপ্রেত নহে। অতএব সত্ত্বর এস্থানে হইতে স্থানান্তরে গমন করাই বিধেয় । রাম শুনিয়া হৰ্ষ প্রকাশপুৰ্ব্বক কহিলেন, বৎস! ভাল বলিয়াছ । তোমার দূরদর্শিতা দেখিয়া সন্তুষ্ট হইলাম। প্রাণাধিক ভরতকে যেরূপ কাতর দেখিয়াছি, তাহতে অন্মদাদির বিরহ তাছার পক্ষে দুৰ্ব্বহ হুইয়া উঠিবে, সন্দেহ নাই । যাহা হউক, স্তুরায় আমরা এরূপ স্থানে গমন করিব যে, তথায় ভরত আমাদিগকে কিছুতেই অনুসন্ধান করিয়া উঠিতে পরিবে না । অনন্তর তাহারা চিত্ৰকূট পরিত্যাগ করিয়া, অগস্ত্যের তপোবনাভিমুখে গমন করিলেন । পথে যাইতে যাইতে দূর হইতে অবলোকন করিয়া, জানকী রামকে সম্বোধন পুৰ্ব্বক জিজ্ঞাসা করিলেন, আর্য্যপুত্ৰ ! সম্মুখে যে গিরিবর দৃষ্ট হইতেছে, উহার নাম কি ? রাম কহিলেন, প্রিয়ে ! ঐ বিন্ধ্যাচল । উহার পাদদেশে মহৰ্ষি অগস্ত্যের আশ্রম । সীতা শুনিয়া পরিহাস পূৰ্ব্বক কহিলেন, নাথ ! শুনিয়াছি, পূৰ্ব্বে আপনার চরণরেণুপ্ৰসাদে সতী অহল্যাদেবী পাষাণময়ী মুক্তি পরিত্যাগ করিয়া, মানুষ-দেহ প্রাপ্ত হইয়।ছিলেন। আজি আমরা বিন্ধ্যাদ্রির নিকট দিয়া গমন করিলে, না জানি আপনার পাদস্পর্শে কত শিলা মানুষীরূপ ধারণ করিয়া উঠিবে । রাম ঈষৎ হাস্য করিয়া কছিলেন, অয়ি পরিচাসচতুরে ! সম্পদে বা বিপদে, প্রবসে বা আবাসে, যুহে বা অরণ্যে, সকল সময়ে সকল স্থানে তোমার মধুর বাক্যবিন্যাস কর্ণকুহরে অমৃতবর্ষণ করিয়া থাকে। জানকী হাসিয়া কহিলেন, নাথ ! এই জন্যই আপ নকে সকলে প্রিয়ংবদ বলে । এইরূপ বিবিধ কথাবাত্তায়, দুই দিবস পথে অতিবাহন করিয়া, উছার তৃতীয় দিবসে মহৰ্ষি অগস্ত্যের তপোবন প্রাপ্ত হইলেন।