পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তমপরিচ্ছেদ । । :ه د ( যতই বিলম্ব হইতেছে, ততই যেন আমার চিত্তচাঞ্চল্য ক্রমশঃ প্রবল হইয়া উঠিতেছে। কিছুতেই মুখৰোধ হইতেছে না। আমার প্রাণের ভিতর যে কি করিতেছে কিছুই বলিতে পারি না । একবার ভাবিতেছি, কেনই আর্য্যপুত্রকে মৃগচৰ্ম্ম আনিতে বলিলাম। তিনি যদি এখন আমার নিকটে থাকিতেন, তাহ হইলে আর আমার এরূপ ভাবনা ও অসুখ উপস্থিত হইত না । আরবার মনে হইতেছে, বুঝি আর্য্যপুত্রের সহিত আমার আর দেখা হইবে না । অতএব আমার দিব্য, তুমি আর্যপূত্রের অমুসন্ধানে প্রবৃত্ত হও ; এবং ত্বরায় তাহার শুভসমাচার অনিয়া আমার কাতরচিত্তে অমৃতসেচন কর । নতুবা, আর আমি এ অবস্থায় থাকিতে পারি না | আর্য্যপুত্রকে আর একদণ্ড না দেখিতে পাইলে আমার প্রাণবিয়োগ হটুয়া যাইবে । লক্ষ্মণ সীতার তাদৃশী কাতরতা দেখিয়া, উহাকে সান্ত না বাক্যে অশেষপ্রকারে বুঝাইয়া কছিলেন, আর্য্যে ! আপনি অগ্রজ মহাশয়ের নিমিত্ত রথ এরূপ ভাবিত হইবেন না। তাহার জন্য কোন চিন্তা নাই। আমি নিশ্চয় বলিতেছি, এজগতে এমন বীরপুরুষ নাই যে, আয্যের ছায়াম্পর্শ করিতেও সমর্থ হয় । অতএব আপনি নিষ্কারণ উদ্বেগ পরিত্যাগ করিয়া সুস্থচিত্ত হউন । জানকী শুনিয়া, ঈষৎ কোপপ্রকাশ পূৰ্ব্বক কহিলেন, লক্ষ্মণ । তুমি কখন আমার বাক্যের অন্যথাচরণ কর নাই। আজি আমার এরূপ চিত্তচাঞ্চল্য ও কাতরতা দেখিয়া, তোমার মনে কি কিছুমাত্র কষ্ট হইতেছে না? আমি এত করিয়া বলিলাম, একবার আয্যপূত্রের সমাচার আনিয়া দাও ; তুমি কি তাহ পারিলে না? তোমার আস্তরিক ইচ্ছা কি, বল দেখি ? যদি আমার প্রতি তোমার