পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । >>> জানকী, মণিহারা ফণিনীর ন্যায় বিকম্পিতবেণীবন্ধনে, যথছার হরিণীর ন্যায় চকিতনয়নে, বারংবার আয্য পুত্ৰসম্বোধনে উচ্চৈঃসূরে রোদন করিতে লাগিলেন। নিৰ্বরবারিপাতের ন্যায়, অনবরত অশ্রুধারা তাহার নয়নযুগল হইতে বিনির্গত হইয়া, গণ্ডস্থল ধাবিত করিতে লাগিল । অনন্তর, কুমুদিনী যেমন চন্দ্রমাকে উষাকালীন ঘনঘটায় সমাচ্ছন্ন দেখিয়া, স্নানভাবে আকাশমুখী হইয়া থাকে, তদ্রুপ তিনি ক্ষণকাল একদৃষ্টে পতির অাশাপথ নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। পরে হা জীবিতেশ্বর ! হা জগদেকবীর ! হা রঘুপতে ! আপনি এখন কোথায় রহিয়াছেন, কি করিতেছেন, একবার দেখিলেন না । এখানে এক পামর একাকিনী অনাথিনী পাইয়া, কুলকামিনীকে অপহরণ করিয়া লইয়া যাইতেছে। নাথ ! এ আপনার উপেক্ষার সময় নয়। ত্বরায় আসিয়া এ অনাথিনীকে রক্ষা করুন। আপনি ভিন্ন আমার আর অন্যগতি নাই । আপনি দয়া না করিলে এ অভাগিনীর প্রতি আর কে দয়া প্রকাশ করিবে ? অয়ি ভগবতি বনদেবতে! মাত বসুন্ধরে! এ জগতে আমাদের মুখপানে চায়, এমন আর কাহাকেও দেখি না । এক্ষণে আপনার কৃপা করিয়া অয পুত্রকে একবার সমাচার দিন । এইরূপ বহু বিলাপ ও পরিতাপ করিতে করিতে, জানকী মূচ্ছিত হইলেন । তদীয় মৰ্ম্মভেদী বিলাপবাক্য শ্রবণ করিয়া, বিয়চ্চারী বিহঙ্গমগণও আৰ্ত্তনাদ করিতে লাগিল । কিন্তু তাহাতে বিনয়বধির দশবদনের বজলেপময় হৃদয়ে বিন্দুমাত্র করুণারসের সঞ্চার হইল না। বরং তাহার তাদৃশীদশা দেখিয়া, দশানন হৃষ্টচিত্তে তাহাকে লইয়া ত্বরিতগমনে স্বীয় রাজধানীতে উত্তীর্ণ হইল । এখানে রামচন্দ্র মায়ামৃগ বধ করিয়া, প্রফুল্লান্তঃকরণে পর্শশালা