পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬ রামের রাজ্যাভিষেক । বিকলচিত্ত হইয়া, শূন্যহৃদয়ে বনে বনে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । কি বন্য পশুপক্ষ্যাদি, কি তরুলতা, কি নদ নদী, কি সচেতন কি অচেতন পদার্থ, সম্মুখে যাহাকে দেখিতে পাইলেন, তাহার নিকট কাতরস্বরে জানকীর কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন । ফলতঃ তৎকালে তিনি সীতাশোকে এরূপ আকুল ও উস্তান্তচিত্ত হইয়াছিলেন যে, তাহার চেতনাচেতন জ্ঞান ছিল না । আর্য্যের তাদৃশী দশ। অবলোকন করিয়া লক্ষ্মণ অতিমাত্র বিষাদিত ও ক্ষুব্ধচিত্ত হইয়া,অতি বিনীতভাবে কহিলেন, আর্য্য ! বিপদের সময়ে ভবাদৃশ লোকোত্তরকর্য মহানুভব ব্যক্তির, এ প্রকার শোকমোহে অভিভূত হওয়া কোন ক্রমেই কৰ্ত্তব্য নহে। আপনি যদি এমন সময়ে এরূপ অধীরতা প্রকাশ করেন, তাহ হইলে জগতে ধৈর্য ও গাম্ভীৰ গুণ একবারে আধারশূন্য হইয়া পড়িবে। সকলে বলিয়া থাকে, আপনার ন্যায় ধৈর্য ও গাম্ভীরশালী পুরুষ আর দ্বিতীয় নাই । অতএব কেন আপনি তরলপ্রকৃতি প্রাকৃত মনুষ্যের ন্যায়, এরূপ কাতর হইতেছেন । দেখুন, বিপদকালে ধৈয্যশীল ন হইলে, কখনই তাহা হইতে উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নহে। আপনাকে যেরূপ কাতরভাবাপন্ন দেখিতেছি, তাহাতে যে আমরা সহজে উপস্থিত বিপদের কোন প্রতিকার করিয়া উঠিতে পারিব, এরূপ বোধ হয় না । অতএব আপনি জানিয়া শুনিয়াও কেন, এরূপ অধিরভাব প্রকাশ করিতেছেন। এক্ষণে আমার অনুরোধ বাক্য রক্ষা করুন, এবং ধৈর্য্যগুণ দ্বারা হৃদয়কে দৃঢ়ীভূত করুন। লক্ষ্মণের কথা শুনিয়া, রাম ক্ষণকাল নিৰ্মীলিতনয়নে অধোবদনে মৌনাবলম্বন করিয়া রছিলেন । অনন্তর একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক, সাজােবদনে কহিলেন, লক্ষ্মণ ! তুমি যাহা বলিলে