পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তমপরিচ্ছেদ । ১১৭ সকলই সত্য ; কিন্তু কি করিব, আমার চিত্ত যে কিছুতেই স্থির হইতেছে না। তুমি যদি আমার অন্তরে প্রবেশ করিতে পারিতে, তাহা হইলে জানিতে, আমার প্রাণের ভিতর কেমন করিতেছে । দেখ ভাই ! সেই রেবাতটিনী, সেই রম্য বিপিন, সেই কমনীয় কুঞ্জকানন, সেই উন্নত ভূধর, সেই সূচ্ছ সরোবর, সেই গিরিনদী, সকলই পুৰ্ব্ববৎ নয়নগোচর হইতেছে, কিন্তু আমার প্রাণপ্রিয় জানকীকে ত কোথায়ও দেখিতে পাইতেছি না । আমি প্রতিকাননে, প্রতিকন্দরে, প্রতিপদে, প্রতিপথে, সৰ্ব্বত্রই এত তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিলাম, কিন্তু কোন স্থানে প্রিয়ার সংবাদও পাওয়া গেল না । বিবেচনা করি, এই সকল অরণ্যবাসীরা ঈষ্যর্ণপ্রযুক্ত জানকীর লোকাতীত সৌন্দর্য্যরাশি অপহরণ করিয়া থাকিবে। নতুবা কেশরীর কটিদেশ, কুসুমের হাস্যচ্ছটা, কুরঙ্গের লোচনযুগল, চম্পকাবলীর কান্তিসার, কোকিলের কণ্ঠস্বর, কমলের সুষমা, মরালের মন্দগতি, কোথা হইতে হইল । ভাইরে । ইহাদিগকে দেখিয়া, আমার হৃদয়ে জানকীর শোক দারুণরূপে উদ্দীপ্ত হইল । প্রিয়ার সেই মোহনরূপলাবণ্য, সেই অনন্যসাধারণ স্বামিভক্তি, সেই অলৌকিক স্নেহ দয়া ও মমতা সকলই আমার অন্তরে নিরন্তর জাগিয়া রহিয়াছে। আমি সে জানকীকে না দেখিয়া, কেমন করিয়া প্রাণ ধারণ করিব । জানকীবিরহে আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে । হা প্রেয়সি ! তুমি কোথায়, বলিয়া, রাম পুনরায় ভূতলে পতিত ও মূচ্ছিত হইলেন । কিয়ৎকাল পরে চেতনাসঞ্চার হইলে, রাম দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগপূৰ্ব্বক কহিতে লাগিলেন, আমি যে আশাযষ্টি অবলম্বন করিয়া প্রিয়াকে অন্বেষণ করিলাম, তাহা অতি অসার ও অকৰ্ম্মণ্য। নতুবা