পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । >>> কপীশ্বর স্বগ্রীবের সহিত তাহার অকৃত্রিম সৌহাৰ্দ্দভাব জন্মিল । বানররাজ সীতার উদ্ধাররূপ প্রত্যুপকারে প্রতিশ্রুত হইলেন ; এবং প্রধান প্রধান সেনপতিদিগকে নিকটে ডাকিয়া, ত্বরায় সমরসজ্জা করিতে আদেশ দিলেন । t এই সময়ে, রাবণাম্বুজ বিভীষণ অগ্রজকর্তৃক যৎপরোনাস্তি অবমানিত হইয়া, ঋষ্যমুকে রামসকাশে সিদ্ধশবরতাপসী শ্রমণাকে পাঠাইয়াছিলেন । শ্রমণা তথায় উপস্থিত হইয়া, যথোচিত ভক্তিযোগসহকারে রামচন্দ্রচরণে প্ৰণিপাতপূর্বক নিবেদন করিল, দেব ! মহারাজ বিভীষণ দেবচরণে শরণ লইয়া এই নিবেদন করিয়াছেন, আপনি অনাথের গতি, ধাৰ্মিকের রক্ষক ও দুজনের নিয়ন্ত । অতএব অধীনকে অভয়দানদ্বারা, স্বীয় মহাত্ম্যের পরিচয় দিন । এ দাস, অবশ্যকৰ্ত্তব্য বিবেচনায়, আর্য্যা জনকদুহিতার উদ্ধারার্থে সাধ্যানুসারে সহায়তা করিবে । এক্ষণে কি আজ্ঞা হয় । রাম শুনিয়া সবিস্ময়ে কহিলেন, শ্রমণে ! নিষ্কারণ-প্রিয়কারী প্রিয়সুহৃদ বিভীষণের অভাবিত শীলতা ও সুজনতাগুণে অনুগৃহীত হইলাম । তুমি মহারাজকে আমার প্রিয়সম্ভাষণ অবগত করাইয়া কহিও, তিনি আমার প্রতি যেরূপ অচিন্তনীয় করুণা প্রকাশ করিতেছেন, তাহাতে মহারাজের নিকট আমি চিরবাধিত রছিলাম । শ্রমণ শুনিয়া সহষে তথা হইতে প্রস্থান করিল। ক্রমে বর্ষাকাল উপস্থিত হইল। চতুর্দিক ঘোর ঘনঘটায় আচ্ছন্ন হইয়া, অন্ধকারময় দৃষ্ট হইতে লাগিল। তৃষ্ণাতুর চাতকবৃন্দ নবীন ঘনাবলী দর্শনে আনন্দিত হইয়া, অব্যক্তমধুরশব্দচ্ছলে স্তুতিবাদ আরম্ভ করিল । মধ্যে মধ্যে মেঘগৰ্জ্জন, বিদ্যুল্লতার স্করণ ও বজ্রপাত। তাছাতে বোধ হইল, যেন প্রলয়কাল উপস্থিত । [ ১৬ ]