পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১৩১

১২২ রামের রাজ্যাভিষেক । নবজলধরের মধুর শব্দ শুনিয়া, भमृत्वमध्रुवीर्थ१ আনন্দে গিরিতরুশিরে কলাপবিস্তারপূৰ্ব্বক, নৃত্য করিতে আরম্ভ করিল। বোধ হইল, যেন প্রারটুকাল মেঘরূপ পটাছে তড়িৎরূপ কনকদণ্ডদ্বারা বাদ্যকরত উহাদিগকে তালে ভালে নাচাইতেছে। ক্রমে হারবিশ্লিষ্ট মুক্তাকলাপের ন্যায় বারিবিন্দু পতিত হওয়াতে, ধরাতল হষিত হইয়া, যেন প্রত্যুপকারচ্ছলে মৃদুগন্ধরূপ সৌগন্ধ বিস্তার করিলেন । ইন্দ্ৰধন্থর উদয় হওয়াতে বোধ হইল, যেন কেলিপরায়ণ বর্ষাবর হস্তভ্রষ্ট হইয়া অদ্ধ ভঙ্গ রত্নকঙ্কণ দীপ্তি পাইতে লাগিল । বর্ষাকালে নদ, নদী, তড়াগ, পলল প্রভৃতি জলে পরিপূর্ণ হইয়াগেল। বর্ষাবারি থলের ন্যায়, রামের অপকার করিব মনে করিয়াই যেন পথঘাট সমুদায় প্লাবিত করিল। কোথায় যাতায়াতের আর সুবিধা রছিল না । তখন রাম আক্ষেপ প্রকাশ পূৰ্ব্বক কহিলেন, এ আবার কি আপদ উপস্থিত। বিধাতা কি এখন পর্য্যন্তও আমার প্রতি প্রসন্ন হন নাই ! যদিও এতকালের পর জানকীর উদ্ধারের উপায় হইল, তথাপি হতবিধি এখন পর্য্যন্তও প্রতিকূলাচরণ করিতেছে। অতএব জানিলাম, বিপদের সময়ে, সুযোগ পাইলে কেহই অনিষ্ট করিতে ক্রটি করে না । অনন্তর বর্ষাকাল অপগত হইলে, রাম অসংখ্য বানরসৈন্য সমভিব্যাহারে লইয়া, জলনিধি অতিক্রম পুৰ্ব্বক, লঙ্কায় উপনীত হইলেন । বিভীষণ রামকে সমাগত দেখিয়া তাঙ্কার সহিত মিলিত হইয়া, সীতাউদ্ধারের সহায়তা করিতে লাগিলেন । রামরাবণের ঘোরতর সংগ্রাম চলিতে লাগিল । তখন জয়লক্ষ্মী কাহাকে বরণ করবেন, কিছুই স্থির করিতে পারিলেন না। কখন রামের জয়, রাবণের পরাজয়, কখন রাবণের জয় রামের পরাজয় ইত্যাদি