পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামের রাজ্যাভিষেক । هنا لا লক্ষ্মণ শুনিয়া রোদন করিতে করিতে তথা হইতে প্রস্থান করিলেন, এবং জানকীর নিকট উপস্থিত হইয়া, অভিবাদনপুৰ্ব্বক, অতিকাতরভাবে কহিলেন, আযে ! আমি অগ্রজের নিদারুণ আজ্ঞা বহন করিয়া, এখানে আগমন করিলাম । কিন্তু কেমন করিয়া তাহা ব্যক্ত করিব, ভাবিয়া, আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে । যদি এই মুহুর্তেই আমার মস্তকে বজাঘাত হইত, তাছা হইলে আমি নিস্কৃতিলাভ করতাম। হায়! কেন আমি এমন কায্যের ভারগ্রহণে সম্মত হইলাম ; এই বলিয়া তিনি অবিরল বাষ্পবারি বিমো চন করিতে লাগিলেন । জানকী শিবিকায় আরোহণ করিয়া, যখন রামচন্দ্রের নিকট উপস্থিত হন, তৎকালে পথের উভয়পাশ্বে অমঙ্গলস্থচক দুনিমিত্ত দর্শন করিয়া, সাতিশয় শঙ্কিত হইয়াছিলেন । এক্ষণে লক্ষ্মণের এরূপ কাতরতা দেখিয়া, তাহার অন্তরে বিষম ভয় ও নানা সংশয় উপস্থিত হইল । অনন্তর রাম কি আদেশ করিয়াছেন, শুনিবার নিমিত্ত একান্ত ব্যাকুল হইয়া কাতরস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, লক্ষ্মণ ! তুমি কেন এত আকুল হইতেছ ? কেনই বা আপনার অমঙ্গল কামনা করিতেছ ? কি হইয়াছে ? কি জন্য তোমাকে এরূপ কাতর দেখিতেছি ? অাযfপুত্র কি আদেশ করিয়াছেন, স্তুরায় বল । তোমার কথা শুনিয়া আমার মনে নানা সংশয় উপস্থিত হইতেছে । আমি তোমায় বলিতেছি, তুমি নির্ভয় হইয়া বল। ভালই হউক বা মন্দই চউক, তুমি বলিতে আর বিলম্ব করিও না | তুমি যতই বিলম্ব করিবে, ততই আমার উৎকণ্ঠ বাড়িতে থাকিবে । আমি আর এরূপ সংশয়িত অবস্থায় থাকিতে পারিব না ; অতএব ত্বরায় বল ।