পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ । , & ক্রমে কুমুদিনী-বিয়োগ-কাতর ভগবান চন্দ্রমা উদয়গিরির অন্তরাল হইতে স্বীয় মনোরম মুর্ভি প্রদর্শন করিতে লাগিলেন। সায়ংসময় উপস্থিত দেখিয়া, মহৰ্ষি সাদরসম্ভাষণে কছিলেন, বৎস রাম ! বৎস লক্ষ্মণ ! তোমরা কএক দিবস অনবরত পথশ্রমে সাতিশয় কাতর হইয়াছ ; অতএব অদ্য উত্তমরূপে প্রান্তি দূর কর । এই কথা কহিয়া, সন্নিহিত শিষ্যের প্রতি র্তাহাদের আতিথ্য-সৎকারের ভারাপণ করিয়া, স্বয়ং সায়ংকালীন সন্ধ্যাবন্দনাদি করিবার নিমিত্ত তথা হইতে চলিয়া গেলেন। রামলক্ষ্মণও তাপস-তরুমুলস্থিত শিলাতলে কিয়ংকাল বিশ্রাম করিয়া পরে, তপোবন-সন্থত কদমূলফলাদি পরম মুখে আহার করিলেন ; এবং কুচীরাভ্যন্তরে পত্রাসনে শয়ন করিয়া যামিনীষাপন করিলেন । প্রভাতে উভয়ে কুটীর পরিত্যাগ করিয়া, যথারীতি প্রাতঃকৃত্য সমাপন করিলেন। অনন্তর, রাম মহর্ষির যজ্ঞদর্শনমানসে লক্ষ্মণকে কছিলেন, বৎস! চল, যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হইয়া মহর্ষির পাদপদ্মদর্শনে আত্মাকে চরিতাখ করা যাউক । এই কথা কহিয়া, রাম সশস্ত্র হইয়া অগ্রে অগ্রে এবং লক্ষ্মণ শিষ্যের ন্যায় তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিতে লাগিলেন । কি প্রাতঃকালে, কি মধ্যাহ্নকালে, কি সায়ংকালে, সকল সময়েই তপোবনের অপুৰ্ব্ব শোভা হইয়া থাকে। কোন স্থানে ললিতলতাগৃহের চারি দিকে মধুলোলুপ অলিকুল গুণ গুণ রবে এক পুষ্প হইতে পুষ্পান্তরে বসিয়া মধুপান করিতেছে ; কোথায় অনতিদীঘ আশ্রমপাদপ-শ্রেণী রসালফলভরে অবনত হইয়া, মৃদ্ধমন্দ সমীরণে ঈষৎ কম্পিত হইতেছে, তাহাতে বোধ হয় বেন, তরুবরের সমীপবৰ্ত্তী স্কুৎপিপাসাতুর পধিকজনকে আহ্বান করিতেছে ;