পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ রামের রাজ্যভিষেক । কি এইছিল,বলিয়া মুস্থিত হইলেম । কিয়ৎকাল পরে, লক্ষ্মণ চৈতন্য লাভ করিয়া, অতিযত্নে জানকীর মুছাপনোদন করিয়া দিলেন। তখন জানকী সংজ্ঞাপ্রাপ্ত হইয়া, অধোবদনে মৌনাবলম্বন করিয়া রছিলেন। পরে দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিভাগ পূৰ্ব্বক, সাশ্রনয়নে স্নানবদনে কহিলেন, লক্ষ্মণ! তোমার দোষ কি ? সকলই আমার অদৃষ্টের দোষ। আমি যদি চিরদুঃখিনী না হইব, তাহ হইলে কেন আমাকে দুরত্ত রাবণগৃহে বাস করিতে হুইবে ? কেনই বা অষ্যপুত্রের হৃদয়ে এরূপ অমূলক সংশয় উপস্থিত হইবে ? মনে করিয়াছিলাম, বিধাতা বুঝি, আমার সকল দুঃখের অবসান করিলেন । কিন্তু আমি যেরূপ মন্দভাগিনী, তাহাতে আমার অদৃষ্টে সুখ কোথায় ? জানিলাম, এবার কেবল দুঃখভোগের জন্যই আমার জন্মগ্রহণ হইয়াছিল! আমি এ বিষয়ে এক মুহুর্ভের নিমিত্তও আয্যপূত্রকে যি দিতে পারি না । সকলই আমার ললাটের লিখন । আমার উপর অীয্যপূত্রের যে দয়া ও মমতা আছে, তাক আমি বেশ জানি। কিন্তু তিনি কি করিবেন, তাহার হৃদয়ে যে সংশয় জন্মিয়াছে, তাছা হইতেই পারে । তিনি যে আমাকে গ্রহণ করিতেছেন না, ভাঙ্গ| ভাল বই মন্দ নছে । যদি বারান্তরে নারীজন্ম গ্রহণ করিতে হয় ; তাহা হইলে, যেন আযfপুত্রের ন্যায় পতি ও তোমার ন্যায় গুণের দেবর পাই । বৎস! আর বিলম্ব করিও না , এক্ষণে অগ্নি প্রজ্বলিত করিয়া দাও । আমি উহাতে প্রবেশ করিয়া সকল ক্ষোভের সকল দুঃখের অবসান করিব। আমার আর পৃথিবীতে এক মুহুৰ্ত্তও এরূপ অবস্থায় থাকিতে ইচ্ছা নাই । এইরূপ বলিতে বলিতে জানকীর নয়ন-সরোবর উচ্ছলিত হইয়া