পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ । । সঞ্চার হয় । বৎস ! দেখ, দেখ, কেমন সিদ্ধাশ্রমের হোমধেনু শান্তভাবে অমৃতময় দুগ্ধ প্রদান করিতেছেন। উহার শ্রুতিমুখ দুগ্ধধারাধানি আশ্রমের চারিদিকে ব্যাপ্ত হইতেছে । লক্ষ্মণ অন্যত্র দৃষ্টি সঞ্চালন করিয়া কছিলেন, আর্য্য ! এ দিকে দেখুন, কেমন ঐ পুণ্যাত্মা ঋষিগণ বেত্ৰাসনে উপবিষ্ট হইয়া সৰ্ব্বলোকপিতামছের ন্যায় উদাত্তস্বিরে বেদপাঠ করিতেছেন। আহা! উহার যেমন স্বভাব-সৌম্যমূৰ্ত্তি তেমনি দুরবগাহগম্ভীরপ্রকৃতি । দেখিলেই বোধ হয়, যেন উছার দয়া ও ক্ষমাগুণের আধার, জগতের মুৰ্ত্তিমান পুণ্যরাশি, এবং সদগুণের আশ্রয়। রাম কহিলেন, লক্ষ্মণ ! ও দিকে দেখ, কেমন ঐ তরুণবয়স্ক ঋষিকন্যার স্ব স্ব সামথ্যানুরূপ সেচনকলস কক্ষে করিয়া আশ্রমতরুমুলস্থিত আলবালে জলসেচন করিতেছেন, আর ঐ জলবেনী আলবালমধ্যে কেমন ধীরে ধীরে গমন করিতেছে । আহ এ স্থানটা কি রমণীয় ! ! বোধ হইতেছে যেন তরুবরশ্রেণী রজতুবলয়ে বিভূষিত হইয়া মুনিকন্যাগণকে শিরঃকম্পনচ্ছলে কৃতজ্ঞতাস্থচক সাদরসম্ভাষণ করিতেছে। লক্ষ্মণ যাইতে যাইতে অন্যদিকে অঙ্গ লিনির্দেশ করিয়া বিন্ম য়াকুলিতচিত্তে সহাস্যবদনে কছিলেন, আর্য্য ! এদিকে অবলোকন করুন, কি চমৎকার ব্যাপার ! ! ঋষিরা দেবাচ্চনার নিমিত্ত যে সমস্ত ভণ্ডলাদি উপকরণসামগ্ৰী আহরণ করিয়াছিলেন, অবসর পাইয়া হরিণের অশঙ্কিতচিত্তে তৎসমুদায় ভক্ষণ ੋ। অার ঋষিপত্নীরা ব্যাকুলান্তকরণে যষ্টি উত্তোলন পূর্বক বারম্বার উহাদিগকে তাড়াইবার চেষ্টা করিতেছেন ; কিন্তু তাহাতেও হরিণের ভীত না হইয়া কেবল উহাই খাইতেছে, আর এক বার গ্রীবা উন্নত করিয়ামুনিপীদিগের হস্তস্থিত উল্লায্যও আত্মাণ করিতেছে ; তজ্জ্ব