পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}^ রামের রাজ্যভিষেক । কি, জানিবার নিমিত্ত সকলে সেই দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন ; দেখিলেন, কৃতান্তের সহধৰ্ম্মিণীর ন্যায় বিকটমুৰ্ভিধারিণী পাপীয়সী সুকেতুনন্দিনী সুবাহু ও মারীচ নামে পুত্রদ্বয় সমভিব্যাহারে যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হইয়াছে, এবং অনবরতরুধিরবষণে যজীয় অগ্নিকুণ্ডনিৰ্ব্বাণের উপক্রম করিতেছে । তদর্শনে বিশ্বামিত্র রামচন্দ্রকে সম্বোধন করিয়া সসন্ত্রমে কহিলেন, বৎস! সুন্দাক্ষরভাৰ্য্যা তাড়কা সপুত্রে আমাদিগের বৈদিককার্য্যের বিষম বিঘ্ন জন্মাইতেছে । অতএব সত্বর চাপগ্রহণ করিয়া, উহার নিধনসম্পাদন কর । রাম শ্রবণমাত্র সাতিশয় রোষপ্রকাশপূর্বক ভীষণ শরাসনে শরসন্ধান করিয়৷ তদভিমুখে ধাবিত হইলেন । কালের করালদন্তের ন্যায় তদীয় দিব্যাস্ত্রগ্রহারে তাড়ক ও রাক্ষসচমুনায়কসুবাহ ভূতলশায়ী হইল। তাড়কার নিধনে লঙ্কাপতি দশামনের অখণ্ড প্রতাপ খণ্ডিত ও অচল রাজ্যলক্ষ্মী কম্পিত হইল; এবং ইহা হইতেই রাক্ষসগণের ভাবী পরাজয়ের স্বত্রপাত আরম্ভ হইল। ». বীরকুলধুরন্ধর রামচন্দ্র রাক্ষসসেনা সংহার করিয়া, প্রসন্নমনে মহবি সমীপে উপস্থিত হইলেন ; এবং প্রগাঢ়ভক্তিসহকারে তাহার চরণারবিন্দে অভিবাদন করিলেন । বিশ্বামিত্র রামদর্শনে হবাতিশয় প্রদর্শন পূর্বক, স্নেহভরে তাহাৰুে আলিঙ্গন করিলেন; এবং নিজ পবিত্র হস্ত দ্বারা তদীয় জয়লক্ষ্মীলাঞ্ছিত কলেবর অবমষৰ্ণ করিয়া স্মিতমুখে কহিলেন, বৎস! অদ্য তোমার বাহৰলপ্রভাবে ব্রতবিদ্বেষী দুষ্ট নিশাচরদিগের দৰ্প খৰ্ব্ব হইয়াছে। এক্ষণে আমি যজ্ঞৰেদি বিঘ্নবিরছিত, তপোবন সমুল্লসিত ও আত্মা কৃতাৰ্থ বিবেচনা করিতেছি। কিন্তু যে পৰ্য্যন্ত আরব্ধ যজ্ঞশেষ না হয়, তদবধি তোমাকে এই স্থানে অবস্থান করিতে হুইবে । এই কথা কহিয়া তপোধন