পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরদিন, বিশ্বামিত্র রাম ও লক্ষ্মণকে সমভিব্যাহারে লইয়া মিথিলাভিমুখে যাত্রা করিলেন ; এবং দ্বিতীয় দিবস মধ্যাহ্নসময়ে তথায় উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, রাজা জনক অতি মহৎ যজ্ঞ আরম্ভ করিয়াছেন। কোন স্থানে শত শত পরিচারকের ঘূতপূর্ণ হেমকুন্ত হস্তে করিয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছে, কোথায় নানা দিগদেশাগত নিমন্ত্রিত ব্রাহ্মণগণের পরস্পর শিষ্টালাপে যজ্ঞভূমি কোলাহলময় হইতেছে, কোন স্থানে ঋষিগণ বিবিধ রত্নাসনে উপবিষ্ট হইয়া ধৰ্ম্মশাস্ত্রের আলোচনা করিতেছেন, কোথায় কিঙ্করের রাশি রাশি যঞ্জীয় দ্রব্যসামগ্রী মস্তকে করিয়া যজ্ঞবেদির নিকট গমন করিতেছে ; বেদির উপরে আচার্য্যের উচ্চৈঃস্বরে মক্সোচ্চারণ পূৰ্ব্বক প্রজ্জ্বলিত হুতাশনে সফল ঘৃতাহুতি প্রদান করিতেছেন। ফলতঃ যে দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করাযায়, সৰ্ব্বত্রই যজ্ঞসংক্রান্ত মহা সমারোহ ভিন্ন, অপর কিছুই লক্ষিত হয় না। এইরূপে তাহারা কৌতুহলাক্রান্তচিত্তে যজ্ঞসমৃদ্ধিদৰ্শন করিতেছেন, ইত্যবসরে রাজা জনক, রাজপুরোহিত শতানন্দ ও অন্যান্য আত্মীয়বর্গের সহিত তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন ; এবং পরম সমাদর প্রদর্শন পুৰ্ব্বক উাহাদিগকে যথাস্থানে লইয়া গেলেন । তথায় সকলে উপবিষ্ট হইলে, রাজৰি তপোবনের কুশলবার্তা জিজ্ঞাসা করিয়া হযোৎফুল্ললোচনে সৰদ্ধকরপুটে নিবেদন করিলেন,