পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ রামের রাজ্যাভিষেক । সিদ্ধির অবসর বুঝিয়া সহষে কছিলেন, রাজৰে। ইহার কৰুৎস্থকুলপ্রদীপ কোশলাধিপতি রাজা দশরথের তনয় । ইহাদের একের নাম রাম, অপরের নাম লক্ষ্মণ । মহৰ্ষির বাক্য শেষ হইতে না হইতেই, শতানন্দ সাতিশয় হর্ষপ্রকাশ পূৰ্ব্বক কহিলেন, ভগবন পূৰ্ব্বে শুনিয়াছিলাম, রাজা দশরথ মহষি ঋষ্যশৃঙ্গের কুপায়, চারিট পুত্র লাভ করেন। ইহার সেই ঋষ্যশৃঙ্গের চরুপ্রস্থতি, কোশলেশ্বরের তনয় ? আছো ! নৃপতি কি পুণ্যাত্মা! না হবে কেন, ক্ষীরসাগর ব্যতিরেকে চন্দ্রকৌস্তুভের উৎপত্তি কি অপর কোন স্থানে সম্ভব হয় ? ভগবন! ইহাদের মধ্যে কোনটা রাম, কোনটা লক্ষ্মণ । বিশ্বামিত্র রামের প্রতি অঙ্গলি নির্দেশ করিয়া, সপ্রশ্রয়ে কহিলেন, রাজা দশরথ ষে চারিট পুত্ররত্ন লাভ করেন, তন্মধ্যে রাম সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ ও লক্ষ্মণ তৃতীয়। রাম তাড়কাকালরাত্রির প্রত্যুবস্তৃরূপ, সুচরিতকথার অদ্বিতীয় উদাহরণ সৃরূপ, এবং অলৌকিক গুণসমুদয়ের একধারস্রুপ । কত্রক দিবস হইল, দুষ্ট নিশাচরদিগের উপদ্রব নিবারণাথে তপোবনে রামচন্দ্রের শুভাগমন হইয়াছিল । এক্ষণে রামের অদ্ভুতভুজবলপ্রভাবে তাড়কাদি নিহত হইয়া, আমাদের আশুমপদ বিঘ্নশূন্য হইয়াছে । এই কথা কহিয়া, মহর্ষি রাম ও লক্ষ্মণকে সম্বোধন পুৰ্ব্বক কহিলেন, বৎস! তোমরা মিথিলাধিপতি মহারাজ জনককে অভিবাদন কর । তদনুসারে তাহার তদীয় চরণে অভিবাদন করিলেন । ^ অনন্তর রাজর্ষি উভয়কে যথোচিত আশীৰ্ব্বাদ করিয়া, অঙ্গলিসঙ্কেত পুৰ্ব্বক, গোপনে শতানন্দকে কহিলেন, ভগবন অদ্য দশরথ কুমারদ্বয়কে অবলোকন করিয়া অন্তঃকরণে যেরূপ সুখোদয়