পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । Sసి শৌন্ধল জনকসমীপে উপস্থিত হইয়া, সম্মুখে দৃষ্টিপাতপূৰ্ব্বক ৰাধিত হৃদয়ে মনে মনে কহিতে লাগিলেন, হাধিস্থ । এখানেও আমাদিগের বিষমশক্র বিশ্বামিত্র, জনক ও শতানন্দের সহিত প্রণয়গন্ত মধুরালাপে কালযাপন করিতেছে । আমি যে উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত এস্থানে আগমন করিয়াছি, বোধ করি, এ দুষ্ট তাপস হইতে তাহার বিশেষ অত্যাহিত জন্মিতে পারে। যাহাহউক, যখন আমি এখানে আসিয়াছি, আর বিশেযতঃ ত্রিলোকাধিপতি মহারাজ দশানন আজ্ঞা করিয়াছেন, তখন অবশ্যই একবার অভিপ্রেতসিদ্ধির চেষ্টা করিতে হইবে । থাকুক, দুষ্ট কি করিতে পারিবে । মনে মনে এইরূপ বহু তর্ক বিতর্ক করিয়া, অবশেষে তিনি রাজাকে যথারীতি আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । অনন্তর রাজনির্দিষ্ট আসনে উপবেশন পূৰ্ব্বক, সহসা রাম ও লক্ষ্মণকে অবলোকন করিয়া, সবিস্ময়ে ভাবিতে লাগিলেন, এই দুইটা কুমার কে ? আকার প্রকার দেখিয়া, ক্ষত্রিয়-তনয় বলিয়া প্রতীতি হইতেছে। কিন্তু এ নবীনবয়সে ইহাদের ব্রহ্মচারীর বেশধারণের কারণ কি ? আহা ! কি চিত্তচমৎকারিণী মূৰ্ত্তি ! বোধ করি, পূৰ্ব্বে আমাদের রাজসভায় যে রামলক্ষ্মণের কথা শুনিয়াছিলাম, হয়ত, তাহারই দুষ্ট কৌশিকের সহিত মিথিলায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। " " " r r শৌন্ধল এইরূপ চিন্তা করিত্যেছন, এমন সময়ে রাজ জনক তাহাকে সম্বোধন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, মহাশয় । মহারাজ রাবণের কুশল ? শৌস্কল , ঈষৎ হাস্য করিয়া কছিলেন, ক্ষত্ৰিয়বর ! যিনি চতুর্দশ-ভুবনের অধিপতি,