পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ রামের রাজ্যভিষেক । হন, তবে আমাদের ষে প্রত্যুত্তর তাহত জানিতে পারিয়াছেন ? অতএব এ বিষয়ে আর অধিক বাদানুবাদের আবশ্যকতা কি । শৌন্ধল পুরোধার বাক্য শ্রবণ করিয়া, কিয়ৎকাল অধোমুখে মৌনাবলম্বন করিয়া রছিলেন । অনন্তর ক্ষোভভরে একান্ত ব্যথিত হইয়া সীতাকে উদ্দেশ করিয়া কহিতে লাগিলেন, হা সীতে ! তুমি যখন ত্রিলোকাধিপতি লঙ্কানাথ রাবণের সহধৰ্ম্মিণীপদে বরণীয় হইতে পারিলে না, তখন নিশ্চয়ই জানিলাম, বিধাতা তোমার ললাটে অনেক কষ্ট লিখিয়াছেন। যে কার্দুকে স্বয়ং দশকণ্ঠ জ্যারোপণ করিতে অক্ষম হইলেন, তাহা যে সামান্য রাজপুত্রেরা তুলিতে পারবে, কখনই বোধ হয় না । অতএব বিবেচনা করি, জনক বুঝি তোমার সর্বনাশের জন্যই এই দারুণ প্রতিজ্ঞ করিয়া থাকিবেন। অনন্তর রাজার আদেশানুসারে সপ্তশত মহাবল পুরুষ অতিকষ্ট্রে হধরন্থ সভাস্থলে আনয়ন করিল। বিশ্বামিত্র দেখিয়া পরমগ্ৰীতিলাভ করিয়া, রামচন্দ্রকে কহিলেন, বৎস! অনৰ্থক কালহরণ করা বিধেয় নহে। তমি ত্বরায় হরধনু গ্রহণ করিয়া, উহাতে জ্যাযোজনা কর। রাম শুনিয়া নতশিরে সকৌতুকে গাত্রোথান করিলেন ; এবং অতিবিনীতভাবে মহর্ষির পাদপদ্ম বন্দনা করিয়া ধনুক গ্রহণ করিলেন। তখন সভাস্থ সমস্ত লোকে, বিস্ময়াকুলহািদয়ে রামের প্রতি অনিমিষ দৃষ্টি নিক্ষেপ ও মনে মনে নানা তর্ক বিতর্ক করিতে লাগিল । /* তাড়কান্তকারী রামচন্দ্র বামকরে হরকোদণ্ড গ্রহণ করিলে, জানকী ও জামদগ্ন্যের বামলোচন যুগপৎ কম্পিত হইতে লাগিল ; এবং বিশ্বামিত্রের হৃদয় একবারে আনন্দে উচ্ছসিত হইয়া উঠিল।