পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ | ২৩ কিন্তু অগ্রে অশুভসম্ভাবনাই মনোমধ্যে উদিত হয়, এই কারণে তৎকালে জনকের স্নেহার্দহৃদয়ে তাদৃশ সুখোদয় না হইয়া, বরং উাহার চিত্ত নিরন্তর সন্দেহদোলায় ছলিতে লাগিল। পূৰ্ব্বে রামকে দেখিয়া অবধি র্তাহার অস্তরে একপ্রকার অপূৰ্ব্ব বাৎসল্যভাবের আবির্ভাব হইয়াছিল ; এক্ষণে রাম কিরূপে কৃতকাৰ্য্য হইবেন, তিনি কেবল সেই চিন্তায় নিমগ্ন রছিলেন, এবং মনে মনে অভীষ্ট দেবতার নিকট উাছার মঙ্গলকামনা করিতে লাগিলেন । তদনন্তর, স্থৰ্য্যবংশাবতংস রামচন্দ্র অবলীলাক্রমে ভাগবগুরুর শরাসনে জ্যারোপণ করিয়া, বৈদেহীর হৃদয়ের সহিত সহসা সমাকৰ্ষণ করিলেন । আকষর্ণমাত্ৰ মহেশ্বরের ধনুৰ্দণ্ড দ্বিখণ্ড হইয়া গেল । ভগ্নকোদণ্ডের মড় মড় শব্দে রাজভবন পরিপুর্ণ হইল। বোধ হইল, যেন রামের বাহুবল ঘোষণা করিবার জন্যই এরূপ প্রচণ্ড ধ্বনি সহসা সমুথিত হইল। তৎকালে সভাসীন সমস্ত লোকেই চিত্রাপিতের ন্যায়, ক্ষণকাল নিম্পন্দভাবে রছিলেন ; পরক্ষণেই সাধু সাধু বলিয়া রামচন্দ্রের গুণানুবাদ ও প্রশংসা গান করিতে লাগিলেন । এই সকল দেখিয়া, শৌস্কলের হৃদয় একান্ত ব্যথিত ও বিষম মৎসরে পরিপূর্ণ হইল। তখন তিনি সবিষাদে মনে মনে কহিতে লাগিলেন, পূৰ্বে ভাবিয়ছিলাম, সামান্য ক্ষত্রিয়শিশু কখনই এমন কাৰ্য্য সমাধা করিতে পরিবে না । কিন্তু দুরাত্মার কি প্রভাব | ভাল, যাহা দেখিবার তা ত দেখিলাম। আর এখানে থাকিবার প্রয়োজন কি ? এক্ষণে যাই, গিয়া আমাদের মহারাজকে এ সংবাদ দিই। এই বলিয়া, তিনি তথা হইতে প্রস্থান করিলেন । রামচন্দ্রকে কৃতকাৰ্য্য দেখিয়া, জনকের চিত্ত আছাদভরে নৃত্য