পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☆br রামের রাজ্যাভিষেক । করিলেন। দশরথ অধিক বিলম্ব করা অবিধেয় বিবেচনায়, বৈবাহিকসমীপে স্বদেশে যাইবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন । জনকও তদীয় প্রস্তাবে কোন আপত্তি উত্থাপন না করিয়া, প্রসন্নমনে তাহাদের তৎকালোচিত গমনের সমুদায় আয়োজন করিয়া দিলেন । তদনন্তর দশরথ, বৈবাহিকের নিকট বিদায় গ্রহণ করিয়া, পুত্রপুত্রবধূগণ সমভিব্যাহারে স্বদেশ যাত্রা করিলেন। অগ্রে অগ্রে গভীর বাদ্যধ্বনি হইতে লাগিল । সৈন্যগণের কল কল রবে, রথচক্রের ঘর্ঘরশব্দে, মাতঙ্গের ও তুরঙ্গের চীৎকারে দশদিক ব্যাপ্ত হইল । এক্ষণে আর কিছুই শুনিত পাওয়া যায় না। কেহ কাহাকে ডাকিয়া আলাপ করিবেন, এরূপ অবকাশ প্রায়ই রহিল না । ক্রমে অশ্বখুরোথিত ধূলিপটলে গগনতল সমাচ্ছন্ন হইলে, দিজু খমণ্ডল যেন তমোময় আবরণে অবগুষ্ঠিত বোধ হইতে লাগিল। এক্ষণে আর কোন পদার্থই নয়নগোচর হয় না । যে দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করাযায়, সেই দিকই নিরবচ্ছিন্ন ধূলিধূসরিত দৃষ্ট হইতে লাগিল । সেনাগণের সদর্প পাদবিক্ষেপে ধরাতল যেন কম্পিত হইতে লাগিল । ক্রমে, সকলে মিথিলা নগর পশ্চাতে রাখিয়া, নানা দেশ, নানা নদী, নানা জনপদ অতিক্রম পুৰ্ব্বক অযোধ্যাভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন । এদিকে হরচাপভঙ্গবার্তা শ্রবণে, রোষরসে কলুষিত হইয়া ভগবান ভৃগুনন্দন, রামের অযোধ্যাগমনপথ অবরোধ পূর্বক, মনে মনে কহিতে লাগিলেন, অঙ্গে ! দুরাত্মা ক্ষক্রিয়শিশুর কি প্ৰগলভতা । যিনি ত্রিভুবনের অধীশ্বর, আমি যাহার প্রিয়শিষ্য, সেই ত্রিপুরবিজয়ী দেবদেব মহাদেবের শরাসন স্পর্শ করিতেও ভূমণ্ডলে কেহ সাহসী হয় না ; কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! দুরাশয় দশরথপুত্র অশংসয়িত