পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ রামের রাজ্যভিষেক | নার এরূপ বাকবিভীষিকায় আমার চিত্ত অতিমাত্র ব্যথিত হইতেছে। আপনি শ্রেষ্ঠবর্ণসঙ্কৃত ব্রাহ্মণ, জাতিতে পূজ্য । আমি দ্বিতীয়বর্ণজাত ক্ষত্ৰিয় । আপনার সহিত বিবাদে প্রবৃত্ত হওয়া মাদৃশ ব্যক্তির কৰ্ত্তব্য নহে। অতএব আপনি আমার প্রতি প্রসন্ন झऊँन् ! ভৃগুনন্দন, রামবাক্য শেষ না হইতে হইতেই, অধিকতর রোধ প্রকাশ পূৰ্ব্বক, কম্পিতকলেবর হইয়া কছিলেন, ওরে মূঢ় আমি কি কেবল জাতিতেই পূজ্য, আর কিছুতে নহি । আঃ পাপ ! জীর্ণ হরধনু ভাঙ্গিয়া তোর এরূপ বিসদৃশ অহঙ্কার বদ্ধিত হইয়াছে। রে মুঢ় ! সম্মুখে কালের করাল কবল দেখিয়াও কি দেখিতেছিস না ! এই মুহূর্তেই তোর দপ খৰ্ব্ব করিতেছি ; তুই অস্ত্রগ্রহণ কর। অথবা অস্ত্রগ্রহণের আব শ্যকতা নাই । তোর সহিত সংগ্রামে প্ররক্ত হইলে, লোকে আমার অপযশ ঘোষণা করবে। আমি প্রতিজ্ঞ করিতেছি, তুই যদি আমার এই ধনুকে মৌৰ্ব্বী যোজনা করিতে পারিস, তাহ হইলে আমি ত্বংকৃত যাবতীয় অপরাধ মার্জন করিব। নতুবা আমার এই কুঠার তোর গলদেশ দ্বিখণ্ড করবে। পরশুরামের ঈদৃশ শ্রবণকটু বচনবিন্যাস প্রবণে, রঘুকুলতিলক রামচন্দ্র, পাদদলিত ভুজঙ্গের ন্যায়, তিরস্কৃত মাতঙ্গের ন্যায়, মেঘান্তরিত পতঙ্গের ন্যায়, প্রবল রোষপ্রকাশপুৰ্ব্বক, অবলীলাক্রমে বামকরে ভাগবধভুগ্রহণ করিয়া, উঠাতে গুণযোজন করিলেন । অনন্তর অধিজ্যশরাসনে শরসন্ধান করিয়া, ভার্গবের স্বৰ্গগমনপথ অবরোধ করিলেন । জামদগ্ন্যের যাবতীয় দর্প একবারে খৰ্ব্ব হইল। চতুর্দক হইতে সৈনিকগণ রামজয়শব্দে