পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । । ৩৭ পরেই রামচন্দ্র আমাদের রাজা হইবেন । পূৰ্ব্বে কখন কখন আমরা চিন্তা করিতাম, রন্ধরাজার পরে যিনি রাজ্যভার গ্রহণ করিবেন, তাহার শাসনে হয়ত, আমাদিগকে কতই উৎপীড়ন সহ্য করিতে হইবে। কিন্তু আজি আমাদের সে আশঙ্কা দূর হইল । আমরা রামরাজ্যে আরও মুখে কালযাপন করিতে পারিব । ' ক্রমে রথসমূহ রাজভবনের দ্বারদেশে উপনীত হইল। দ্বারের দুই পাশ্বে বারিপূর্ণ হেমকুন্ত, তৎসমীপে অভিনব শাখাপল্লব এবং তোরণের উপরিভাগে একাবলীহারের ন্যায় কল্যাণস্থচক পুষ্পমালা, উহার মধ্যে মধ্যে বিচিত্র কুসুমস্তবক দোলায়মান রহিয়াছে । রাজকুমারের পূরমধ্যে প্রবেশ করিলে, পৌরজনের আনন্দস্থচক মঙ্গলধ্বনি করিতে লাগিল । তদনন্তর অন্তঃপুরবাসী পুরন্ত্রীবর্গ অগ্রে জলধারা, তৎপরে লাজবষর্ণ প্রভৃতি তৎকালোচিত মঙ্গলাচরণ করিতে করিতে রাজপুত্র ও বদিগকে অন্তঃপুরমধ্যে লইয়া গেলেন । রাম, ভরত, লক্ষ্মণ, ও শক্রয়, চারিভ্রাতা একে একে সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ কৌশল্য মাতাকে, তদনন্তর মধ্যম কৈকেয়ীকে, তৎপরে কনিষ্ঠা সুমিত্রা জননীকে অভিবাদন করিলেন । র্তাহারা “আয়ুষ্মান হও" বলিয়া পুত্রদিগকে আশীৰ্বাদ করিয়া, বন্ধুমুখাবলোকনে যত্নবতী হইলেন। পুত্রবধুদিগের লোকাতীত রূপমাধুরীদর্শনে রামজননীদিগের চিত্ত আনন্দে উদ্বেল হইয়া উঠিল। তখন রাজীরা আহাদভরে “ এস মা এস" বলিয়া প্রণত বধূদিগকে ক্রোড়ে লইলেন, এবং স্নেহৰিকসিত সঙ্গ হলোচনে বারংবার উহাদের মুখচুম্বন করিতে লাগিলেন। তাহারা যতবার বস্তুদিগের চন্দ্ৰানন নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন, ততই যেন তাছাদের দর্শনপিপাস বলবতী হইতে লাগিল ৷ একবার দেখেন, আরবার