পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । 8> ঈীন মঙ্গলসম্ভাবনা কিরূপে সম্ভবে । বস্তুতঃ এক্ষণে আমার শরীরের অবস্থা যেরূপ, তাহাতে আর বিষয়মৃগতৃষ্ণিকায় ভ্রান্ত হইয়া, বৃথা কালক্ষেপ করা বিধেয় নছে । আর যদি অস্তিমকাল পর্য্যন্তই এরূপ সাংসারিক ব্যাপারে লিপ্ত থাকিয়া, আপাতরম্য পরিণামবিরস পাথি বসুখে সময়ক্ষেপণ করি ; তবে আমার পরকালের দশা কি হইবে ? ইহলোকে ধৰ্ম্মসঞ্চয় করিতে না পারিলে, পরলোকে পরিত্ৰাণের উপায়ান্তর নাই । অতএব এক্ষণে জ্যেষ্ঠভনয় গুণাকর রামচন্দ্রের উপর রাজ্যভার সমর্পণ করিয়া, শেষ দশায় পারত্রিক মঙ্গলচিন্তা করাই কর্তব্য । মনে মনে এইরূপ কৃতসংকল্প হইয়া, রাজা দশরথ, অভিলষিত বিষয়ের সমুচিতকৰ্ত্তব্যনিদ্ধারণের নিমিত্ত, মন্ত্রভবনে প্রবেশ করিলেন, এবং সমীপস্থ পরিচারকদ্বারা বশিষ্ঠদেবকে তথায় উপস্থিত হইবার নিমিত্ত আহ্বান করিয়া পাঠাইলেন । বশিষ্ঠদেব তথায় উপস্থিত হইয়া আসন পরিগ্রহ করিলে, রাজা আপন অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়া, কছিলেন, ভগবন রঘুবংশীয়ের শেষাবস্থায় গৃহস্থাশ্রম পরিত্যাগ করিয়া, মুনিৱৰ্ত্তি অবলম্বন করিয়া থাকেন এবং ঈশ্বরচিন্তায় জীবনের শেষভাগ অতিবাহন করেন । এক্ষণে আমার মানস, সেই কুলক্রমাগত প্রশংসনীয় রীতির অনুসরণে জীবন ক্ষেপণ করি । আমি রুদ্ধ হইয়ছি। অামার আর রাজকাৰ্য্যপৰ্য্যালোচনায় ইচ্ছা নাই । এ অবস্থায় আমার কেবল পরকালের চিন্তা করাই শ্রেয়ঃ । ভগবন আমি সংসারাশ্রমের বাব মুখ অনুভব করলাম। আমার সকল প্রকার বাসনাই পরিপূর্ণ হইয়াছে । অতএব আর, চৰ্ব্বিতচর্বণবৎ রথা বিষয়ভোগে কালক্ষেপ করা উচিত নয়। এক্ষণে আমি চিরসেবিতা রাজ্যলক্ষ্মী জ্যেষ্ঠপুত্র রামচন্দ্রকে সমর্পণ করিয়া, [ ७ ]