পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৫৯

6 o' রামের রাজ্যাভিষেক । এ দিকে, ভরতজননী কৈকেয়ী প্রিয়সহচরী মন্থরার কুপরামর্শে প্রলোভিত হইয়া, রামের অভিষেকসংক্রান্ত মহোৎসব, নয়নের বিষম অগ্ৰীতিকর এবং হৃদয়ে বিদ্ধ শেলসৃরূপ বিবেচনা করিতে লাগিলেন। একে স্ত্রীলোকের মন তুলখণ্ডের ন্যায় সৃভাৰত লঘু ও কোমল, সামান্য কারণ বায়ুতেই বিচলিত হয়,তাছাতে আবার জয়মতি মস্থরার অসৎপরামর্শরূপ প্রবলৰাভ্যাসংযোগ হইয়াছে ; সুতরাং কৈকেয়ীর হৃদয় একবারে বিপরীতভাবাপন্ন হইয়া, ক্রোধ, দ্বেষ, হিংসা প্রভৃতি দ্বার যুগপৎ সমাকীর্ণ হইল এবং রামের প্রতি তাদৃশ স্নেহ, দয়া ও মমতা সকলই একবারে বিলীন হইল। তখন তিনি মনে মনে কহিতে লাগিলেন, যেমন এক রক্ষের বক্ষল কিছু তেই রক্ষান্তরে লাগে না, তক্রপ সপত্নীপুঞ্জ, পর বই, কখন অপেন হয় না। রাম রাজা এবং সীতা রাজমহিষী হইবেন, আর আমার ভরত চিরকাল রাজ্যভোগে বঞ্চিত থাকিয়া, উহাদের অধীন হইয়। থাকিবে, ইহা ত অমি কখনই চক্ষে দেখিতে পারিব না । যখন সকলে সপত্নীকে রাজমাতা বলিয়া ডাকিবে, তখন উছ আমার কর্ণে যেন বিষবর্ষণের ন্যায় বোধ হইবে। আমি সপত্নীর সুখ কদাপি সূচক্ষে দেখিতে পারিব না। এক্ষণে বাছাতে রাম রাজা না হইয়া, আমার ভরত রাজপদ প্রাপ্ত হয়, এবং সপত্নী রাজার মা বলিয়া অহঙ্কার করিতে না পারে; আশু তাছার কোন উপায় স্থির করা কৰ্ত্তব্য । ** : * ... এইরূপ ভাবিয়া কৈকেয়ী, সাদরসম্বোধনে প্রিয়সখীকে কছিলেন মন্থরে ; বল দেখি, কি উপায়ে আমাদের অভীষ্টসিদ্ধ করি। মন্থর পূৰ্বেই উপায় স্থির করিয়া রাখিয়াছিল, মৃতরাং কপলিস্বৰ্যক্তি রেকে কছিল, দেৰি ! অস্থরযুদ্ধে মহারাজ জাহত হইলে, তুমি তাহার