পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । 《位 কেমন করিয়া বনে পাঠাইৰ রাম জামার প্রাণ হইতেও প্রিয়তর । আমি সে রামকে কি অরণ্যবাসী করিতে পারি? দেখ, এ জগতে রাম কাহারও অপ্রিয়ভাজন বা অসুখের ভূেত্বত মহেন। সকলেই বৎসকে সমধিক সমাদর, প্রগাঢ় স্নেহ ও বহুল সম্মান করিয়া থাকে। তুমি যে রামচক্সের কেন অনখক অমঙ্গলচিন্তা করিতেছ ? আরো বলি , দেখ ভূমি ংই আমার নিকট কত দিন কছিয়াছ যে, রাম কৌশল্য অপেক্ষা তোমাকে অধিক ভক্তি ও সমাদর করিয়া থাকে । , কিন্তু তোমার ভরত তোমার প্রতি সেরূপ অনুরাগ ও যত্ন প্রদর্শন করে না। তন্নিমিত্ত তুমি সপত্নীপুত্র না ভাবিয়া, ভরত অপেক্ষা রামকে অধিক স্নেহ করিয়া থাক। তবে ভূমি, আজি কেন প্রিয় রামের অনিষ্টসাধনে উদ্যত হইয়াছ ? ভাল, তোমাকেই কেন জিজ্ঞাসা করি না ; তুমি সেই প্রাণাধিক সরলাত্মা বৎস রামচন্দ্রকে শ্বাপদসঙ্কল বিজনবনে বিসর্জন দিয়া, কি প্রকারে নিশ্চিন্ত থাকিবে ? তোমার মন কি কাতর হইবে না ? দেখ ; আমার রাম ক্ষীরকণ্ঠ, অতি শিশু। শিশুকাল কিছু বনবাসের সময় নহে। এখন কোথা, আমরা পুত্ৰহস্তে রাজ্যভার সমর্পণ করিয়া অরণ্যে বাস করিব, ন তুমি বৎসকে বনবাসী করিতে অভিলাষ করিতেছ। অতএব তোমার এ অভিলাষ কতদূর অসঙ্গত, তাছা কেন তমি স্বয়ংই বিবেচনা করিয়া দেখ না? অয় অপ্রিয়বাদিনি! তুমি এমন কথা আর কখক মুখাথে আনিও না । আরো বলি, দেখ, গুণশ্রেষ্ঠ জ্যেষ্ঠসত্ত্বে, কনিষ্ঠের রাজ্যপ্রাপ্তি কখন শাস্তুসখত, নহে। রাম বয়োজ্যেষ্ঠ, ভরত কনিষ্ঠ । অতএব রাম থাকিতে কিপ্রকারে ভরতকে রাজপদ প্রদান করা যাইতে পারে। তাছা হইলে লোকে,কি বলিৰে ? অামি নিশ্চয় বলিতেছি, রাম থাকিতে ভরত কখনই রাজোপাধি গ্রহণে