পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\。 রামের রাজ্যভিষেক । আর বিলম্বু করিও না ; যত শীঘ্র পার, কৃপা করিয়া এ নরাধমের, এ পাপাত্মার প্রাণসংহার কর । আমাকে যেন এ বিষম কাণ্ড আর cङ्गर्थिदङ म झम्न ! এইরূপ বহুবিলাপ ও পরিতাপ করিয়া রাজা অঞ্জপুর্ণলোচনে কাতরবচনে, কৌশল্যাকে উদেশ করিয়া কছিলেন, দেৰি ! এখানে কি সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত হইয়াছে, কিছুই জানিতে পার নাই। মায়াম বিনী কৈকেয়ীর কপটৰাক্যে বিমোহিত হইয়া, মুঢ় দশরথ তোমার জীবনসৰ্ব্বস, সৰ্ব্বগুণসম্পন্ন অঞ্চলের নিধিকে অনাথের ন্যায় গছনবনে বিসর্জন দিতে উদ্যত হইয়াছে । আহা ! আমি এ পাপীয়সী রাক্ষসীর ভয়ে এক দিনের জন্যেও, তোমাকে যথোচিত সুখী করিতে পারি নাই। আবার এখন তোমার সর্বনাশে প্রবৃত্ত হইয়াছি। তুমি আর এ চিরাপরাধীর, এ কৃতন্ত্রের, এ নরাধমের মুখাবলোকন করিও না ; করিলে, একান্ত অপবিত্র হইবে । হায় ! হায় ! আমি এৱদ্ধবয়সে স্ত্রীহত্যা করিতে বসিলাম । এ নিদারুণ কথা দেবীর কর্ণগোচর হইলে, তিনি এক মুহূৰ্ত্তও প্রাণধারণ করিতে পারিবেন না । হায় ! কি হইল। হায় ! আমি কি করিলাম । শেষে আমার অদৃষ্টে কি এই ছিল যে, অসতী নারীর মায়াপাশে আবদ্ধ হইয়া, আমাকে ইহলোকে যাহার পর নাই অকীৰ্ত্তিভাজন ও পরলোকে নিরয়গামী হইতে হইল ! হা ভগবন বশিষ্ঠ ! হা মহষে । বিশ্বামিত্ৰ ! হা সখে জনক ! তোমরা কোথায় ; এ বিষমসঙ্কটে সমুচিত কৰ্ত্তব্য কি বলিয়া দাগু হ প্রজাবর্গ। রাম রাজা হবেন বলিয়া, তোমরা কতই আমোদ, কতই আহলাদ, কতই উৎসব, কতই আশা করিতেছিলে ; কিন্তু এক্ষণে তোমাদের সে সব একমাত্র বিষাদসাগরে পরিক্ষিপ্ত হইল । তোমরা আর কখন এ মুঢ় পাপাত্মার