পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やがや) রামের রাজ্যাভিষেক । বদনসুধাকর সন্দর্শন করিতে লাগিলেন । তদর্শনে রাম একান্ত ভীত ও যৎপরোনাস্তি শোকাকুল হইয়া, কাতরবচনে পূনরায় কৈকেয়ীকে কহিলেন, মাতঃ ! আমার নিমিত্তই পিতার এরূপ ভাব উপস্থিত হইয়াছে। আমিই পিতার এ অসুখসমুদ্বয়ের একমাত্র মূল। যদি পিতৃসন্তোষার্থে আমাকে উপস্থিত রাজ্যাধিকার পরিত্যাগ করিয়া বনে বাস করিতে হয় ; অধিক কি, প্রাণ পৰ্য্যন্তও বিসর্জন দিতে হয়, তাহাতেও আমি এক মুহুর্ভের নিমিত্ত কাতর নহি। অতএব জননি ! কি হইয়াছে বিশেষ করিয়া বলুন। আপনার কথা শুনিয়া আমার অন্তঃকরণে নানা সংশয় উপস্থিত হইল। আপনি ত্বরায় বলুন আর বিলম্ব করিবেন না, অামার প্রাণবিয়োগ হইয়া যাইতেছে । রামের আগ্রহাতিশয় দর্শনে, কৈকেয়ী মনে মনে হৰ্ষ লাভ করিয়া অমানবদনে কহিল, রাম! পূৰ্ব্বে মহারাজ আমাকে দুইটা বর প্রতিশ্রুত হইয়াছিলেন। এতদিন আমি উহা প্রার্থনা করি নাই । সম্প্রতি প্রয়োজন হওয়াতে, এক বরদ্বারা তোমার চতুর্দশ বৎসর অরণ্যে বাস, অপর বরদ্বারা ভরতের রাজ্যভিষেক প্রার্থনা করিয়াছি । মহারাজ তাছাতে সন্মতও হইয়াছেন । এক্ষণে কেমন করিয়া, সহসা তোমাকে এরূপ কথা বলিবেন, এই জন্য নিরুক্তর হইয় রছিয়াছেন । তম্ভিন্ন মহারাজের শোকের কারণ আর কিছুই দেখিতেছি না। রাম ! লোকে, উভয়লোকচিতার্থে সন্তানের কামনা করিয়া থাকে। তুমি মহারাজের প্রিয়পূঞ্জ । অতএব তুমি সত্যত্রত রাজাকে, সত্যপালনরূপ ঋণজাল হইতে মুক্ত করিয়া, ধাৰ্মিক পুত্রের ন্যায় কাৰ্য্য কর, এবং অদ্যই অযোধ্যানগর পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক অরণ্যে গমন কর । আর রথ কালক্করণ করিও না। দশরথ শুনিবামাত্র, হারাম বলিয়া মূচ্ছিত হইলেন ।