পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । ৩৯ বরং এখান অপেক্ষা তথায় আমি সহস্ৰগুণ সুখলাভ করিতে পারিব । অধিক কি, আপনি আমার কাছে থাকিলে, সেই জনশূন্য অরণ্য স্বৰ্গতুল্য মুখের স্থান, সেই রক্ষবস্কল পট্টবস্ত্র, সেই পর্ণকুটীর রাজভবন, সেই তরুমুল রত্নাসন ৰলিয়া বোধ হইবে । অতএব হে নাথ ! কৃপা করিয়া এ দাসীকে সহচারিণী করুন। নতুবা এ দাসী ঐ চরণে প্রাণবিসর্জন করিবে । রাম কহিলেন, প্রিয়ে ! যদি একান্তই বনবাসিনী হইতে ইচ্ছা হয়, তবে আর বিলম্ব করিও না, বনগমনের সমস্ত আয়োজন কর । উভয়ের এরূপ কথোপকথন হইতেছে, এমন সময়ে লক্ষ্মণ তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন । রাম লক্ষ্মণকে দেখিয়া কহিলেন, ভাই লক্ষ্মণ ! তুমি গৃহে অবস্থান করিয়া পিতামাতার শুশ্রুষায় কালযাপন কর। আমি পিতৃআজ্ঞানুসারে অদ্য জানকীর সহিত অরণ্যে গমন করিব । চতুর্দশ বৎসরের পর, তোমার সহিত পূনরায় সাক্ষাৎ হইবে। স্বশীল লক্ষ্মণ শুনিয়া সজলনয়নে কহিলেন, আৰ্য্য! এ দাস আপনার চিরামুগত ও একান্ত আজ্ঞাবহ ভূত্য । আপনিই কেবল এদাসের একমাত্র প্রভু। প্রভুর সুখে সেবকের মুখ, প্রভুর দুঃখে সেবকের দুঃখ । যদি আপনি অরণ্যবাসী হইলেন, তবে আর লক্ষ্মণের এ ক্লেশময় রাজভবনে থাকিয়া সুখ কি ? অরণ্যে আপনি আর্য্যা জনকতনয়ার সহবাসে কালযাপন করিবেন, আর এ চিরসেৰক ফলমূলাদি আহরণ করিয়া, বিশ্বস্ত কিঙ্করের ন্যায় দিবারাত্রি আপনাদের পরিচর্য্যায় তৎপর খুকিৰে । অতএব এ দাসকে সঙ্গে লইতে কখন অমত করিবেন না । রাম কহিলেন, লক্ষ্মণ । তুমি আমার প্রাণের ভাই, এবং বিপদে একমাত্র সহায় ও সম্পদে অদ্বিতীয় মিত্র । তোমায় আমায় অভেদাত্মা । তুমি আমার