পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ• রামের রাজ্যভিষেক । নিকটে থাকিলে, আমি অরণ্যবাসনিবন্ধন কোন কষ্টই অনুভব করিতে পারিব না, সত্য বটে ; কিন্তু তোমাকে আমার দুঃখের অংশভাগী করিতে কোন মতে ইচ্ছা হয় না। আমার অদৃষ্টে যদি দুঃখ থাকে, তাহা আমি স্বয়ংই ভোগ করিব । নিরর্থক তোমার সে কষ্টভার সহ্য করিবার প্রয়োজন নাই। লক্ষ্মণ ! আমি সকল ক্লেশ সহ্য করিতে পারিব, কিন্তু বনবিহারী কিরাতের ন্যায় তোমার উত্তাপক্লিষ্ট মুখকমল মলিন দেখিয়া, কখনই ধৈর্য্যাবলম্বন করিতে পারিব না । অতএব ক্ষান্ত হও ; গৃহে থাকিয় গুরুজনগণের পরিচর্য্য কর । আমার অদৃষ্টে যাহা আছে, তাছাই ঘটিবে। এইরূপে রাম, প্রাণাধিক লক্ষ্মণকে অনেক বুঝাইলেন, কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। অনন্তর তিনি অম্বুজকে, অনুগমনে কৃতংস্কপ দেখিয়া কহিলেন, ভ্রাতঃ ! যদি নিতান্তই আমার সহচর হইতে ইচ্ছা হইয়া থাকে ; তবে চল, একবার জননীর নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিয়া আসি । এই বলিয়া রাম লক্ষ্মণকে সমভিব্যাহারে লইয়া মাতৃভবনে গমন করিলেন । কৌশল্য দেখিবামাত্র আহলাদে গদগদ হইয়া, সস্নেহসম্ভাষণ পুৰ্ব্বক প্রণত পুত্রের মুখচুম্বন করিয়া কছিলেন, বৎস! অদ্য সত্যপরায়ণ মহারাজ তোমাকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিবেন । এক্ষণে রঘুকুলদেবতাদিগের নিকট প্রার্থনা করি, তুমি অব্যাহতরূপে সেই চিরপ্রসিদ্ধ রাজ্যলক্ষ্মী উপভোগ করিয়া পরম সুখে সকলকে প্রতিপালন কর। অপকালের মধ্যে তোমার কীৰ্ত্তি যেন দিগ্নি দগন্তব্যাপিনী হয় । রাম কহিলেন মাতঃ ! এদিকে কি হইয়াছে, তাহাকি আপনি এখনও জানিতে পারেন নাই। মহারাজ পূৰ্ব্বে বিমাতা কৈকেয়ীকে দুইটী