পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ রামের রাজ্যাভিষেক । আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে না কেন ? বিশ্বন্তরে ! তুমি দ্বিখণ্ড হও, আমি প্রবেশ করি । এইরূপ আক্ষেপ করিয়া, কৌশল্য রোদন করিতে করিতে, রামকে ক্রোড়ে লইয়া কছিলেন, বৎস! এজগতে তুমি বই মা বলিয়া সম্বোধন করে, এ অভাগিনীর এমন আর কেহই নাই । তুমি আমার অনেক দুঃখের ধন । আমি কত দেবদেবীর আরাধনা করিয়া তোমাকে প্রাপ্ত হইয়াছি ; এবং তোমার জন্য কত মনস্তাপ, কত ক্লেশ, কত দুঃখ ও কত যন্ত্রণ পাইয়াছি, তাহ বলিবার নহে । তথাপি আমি দ্বিরুক্তি করি নাই, কেবল তোমার মুখপানে চাহিয়া সে সব সহ্য করিয়াছি । হৃদয়নন্দন! তুমি আমার জীবনসৰ্ব্বস্ব । আমি এক মুহুৰ্ত্ত তোমার চন্দ্ৰানন দেখিতে না পাইলে, দশদিক অন্ধকারময় দেখিয়া থাকি ; কেমন করিয়া চতুর্দশ বৎসর তোমার বিরহে প্রাণ ধারণ করিব ? মহারাজ আজ্ঞা করিয়াছেন সত্য বটে, কিন্তু আমি তোমাকে কখন বনে মাইতে দিব না। তুমি বনে গমন করিলে এ অভাগিনীর দশ কি হইবে ? কে আমাকে মা বলিয়া সম্ভাষণ করিবে ? অতএব আমার কথা রক্ষা কর, তুমি বনে গমন করিও না | * o, রাম মাতৃবিলাপবাক্য শ্রবণে, যার পর নাই, শোকাকুল হইলেন বটে, কিন্তু পাছে জননী জানিতে পারিলে আরও অধীর হন, এই ভয়ে অতিকষ্টে সীয়ভাব গোপন পূর্বক, সান্তনাবাক্যে জননীকে নানা প্রকার বুঝাইয়া কহিলেন, মাতঃ ! পূত্রের প্রতি পিতার সর্বতোমুখী প্রভুত আছে। যখন পিতা আমাকে বনে যাইতে আজ্ঞা করিয়াছেন, তখন সে আজ্ঞাপ্রতিরোধে আমার ক্ষমতা নাই। এজগতে সত্যই সনাতন ধৰ্ম্ম । পিতা কৈকেয়ী জননীর