পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । b"> কহিবে, যাহাতে অচিরে মহারাজের শোকনিরক্তি হয়, যেন সকলে স্বরায় তাহার কোন উপায় উদ্ভাবন করেন। পৌরবর্গকে, অামার যথাযোগ্য সাদরসম্ভাষণ জানাইয়া কহিবে, যেন সকলে শোকংবরণপূর্বক অচিরে সুস্থচিত্ত হয় এবং প্রাণাধিক ভরতকে রাজা করিয়া পরমানন্দে কালযাপন করে } রাম এইরূপ বলিয়া বিবত হইলে, সুমন্ত্র কৃতাঞ্জলি হইয়া সজল নয়নে কহিলেন, আয় ঝুন্‌! আমি কেমন করিয়া শূন্যরথ লইয়া অযোধ্যায় ফিরিয়া যাইব । তাহা হইলে লোকে আমাকে কি বলিবে ? মহারাজের কাছেই বা কি প্রকারে আমি এ দগ্ধমুখ দেখাইব । তোমার দুঃখিনী জননী যদি জিজ্ঞাসা করেন, আমার রামকে কোথায় রাখিয়া আসিলে, তখনই বা আমি তাহাকে কি বলিয়া সান্ত না করিব । পৌরজন জিজ্ঞাসা করিলে, তাহাদিগকে বা কি কহিব ! হায়! আমার অদৃষ্টে কি এই ছিল, বলিয়া তিনি উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে করিতে তথা হইতে প্রস্থান করিলেন । সুমন্ত্র রথ লইয়া অযোধ্যাভিমুখে গমন করিলে, রাম চণ্ডালরাজকে ডাকিয়া কহিলেন, সখে । রক্ষনির্যাস ও বলক্ষল আনিয়া দাও । আমরা এই স্থানে জটাবন্ধন ও বন্ধলপরিধান করিয়া, ঋষিবেশ ধারণ করিব । তদনুসারে গুহক রক্ষনিয়াস ও বলকল আনয়ন করিলে, রাম ও লক্ষ্মণ তদারা জটানিৰ্ম্মাণ করিয়া, এক বকেলখণ্ডে পরিধেয় ও অপর বন্ধেলখণ্ডে উত্তরীয় বস্ত্র করিলেন । সীতাও পট্টবস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া, বলকলাস্তর গ্রহণপুৰ্ব্বক তপস্বিনীর বেশঅবলম্বন করিলেন । আহা ! সেই ভাবে জানকীকে কি চমৎকার দেখাইতে লাগিল। বোধ হইল, যেন এরূপ অপূৰ্ব্ব ত্রী কখন কাহারও নয়নগোচর হয় নাই। বস্তুতঃ, স্বভাবসুন্দর বস্তু যে ভাব [ ১১ ]