পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যষ্ঠ পরিচ্ছেদ । brö দেখিয়া বোধ হইতেছে, তুমি পথশ্রমে ক্লান্ত ও কাতর হইয়াছ । বিশেষতঃ আতপতাপে তোমার মুখকমল মলিন ও সৰ্ব্বশরীর ঘৰ্ম্মাক্ত হইয়াছে। ঐ দেখ, সম্মুখবর্তী অশোক তরুবর, কম্পমানশাখাবাহুপ্রসারণদ্বারা, বিশ্রামার্থ তোমাকে আহ্বান করিতেছে । অতএব চল, ঐ স্থানে গমন করা যাউক । তদনুসারে সকলে সেই তরুবরের সুশীতল ছায়ায় কিয়ৎকাল শ্রান্তিদূর করিয়া, সন্ধ্যার প্রাককালে ভরদ্বাজের তপোবনে উপস্থিত হইলেন, এবং সৌম্যমূৰ্ত্তি মহৰ্ষির সম্ম,খবৰ্ত্তী হইয়া, স্ব স্ব নামোচ্চারণ পূৰ্ব্বক তদীয় চরণারবিন্দে অভিবাদন করিলেন । মহর্ষি “ সত্যব্রতপালন করিয়া ভূভারহরণ কর” এই আশীৰ্ব্বাদ প্রয়োগ করিয়া, মধুরসম্ভাষণ পুৰ্ব্বক কছিলেন, বৎস রামচন্দ্র ! তোমাদের এই স্থানে আসিবার পূৰ্ব্বেই, আমি সবিশেষ সমস্ত জানিতে পারিয়াছি। ভাবিতেছিলাম, তোমরা কতক্ষণে তপোবন অলঙ্কত করিবে । অধুনা তোমাদের শুভাগমনে কি পৰ্য্যন্ত আনন্দিত হইয়াছি, বলিতে পারি না । বৎস! তুমি পিতৃসত্য-পালনাথ, হস্তগত রাজ্যাধিকার পরিত্যাগ করিয়া, চতুর্দশ বৎসর অরণ্যবাসে আদিষ্ট হইয়াছ। অতএব যে পর্যন্ত চতুর্দশ বৎসর পূর্ণ না হয়, তাবৎকাল আমাদিগের আশ্রমে অবস্থান কর । তপোবন অতি রমণীয় স্থান । এখানে থাকিলে, তোমরা বনবাস-নিবন্ধন কোন কষ্টই অনুভব করিতে পারিবে না । পরে, জানকীকে কছিলেন, বৎসে ! তুমি সাক্ষাৎ লক্ষ্মীস্বরূপ। তোমার গুণের সীমা নাই। তুমি যে পতিসহচারিণী হইয়াছ, ইহাতে তোমার পতিপরায়ণতাগুণের পরাকাষ্ঠী প্রদর্শিত হইয়াছে । এক্ষণে কিছুকাল আমাদের তপোবনে, পতিসহবাসে মনের মুখে কালযাপন কর । এইমাত্র কহিয়া, মহর্ষি সন্নিহিত শিষ্যের প্রতি