পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৯৭

* রামের রাজ্যাভিষেক । "ל-b য়ীকে তিরস্কার করিতে লাগিলেন ; এবং কেবল সুমন্ত্রের আগমনপথ নিরীক্ষণ করিয়া জীবিত রছিলেন । চতুৰ্থ দিবসে সুমন্ত্র শূন্যরথ লইয়া আৰ্ত্তস্বরপূর্ণ অযোধ্যায় উপস্থিত হইলেন ; এবং দশরথের সন্নিধানে গমন করিয়া সাঞ্জনয়নে কাতরসূরে নিবেদন করিলেন, মহারাজ ! এ হতভাগ্য রামচন্দ্রকে অরণ্যে রাখিয়া আসিল । দশরথ শ্রবণমাত্র, হা রাম ! বলিয়া মুস্থিত হইলেন। সুমন্ত্র অতিযত্নে তাহার চৈতন্য সম্পাদন করিলে, রাজা গলদগুলোচনে আকুলবচনে জিজ্ঞাসা করিলেন, স মন্ত্ৰ ! তুমি আমার বৎসকে কোথায় রাখিয়া আসিলে ঐ বৎস আমায় কি বলিয়া দিয়াছেন ? সুমন্ত্র আদ্যোপান্ত সমস্ত বর্ণন করিয়া কহিলেন, মহারাজ ! যুবরাজ রামচন্দ্র, মহারাজের চরণে প্রেণাম জানাইয়া নিবেদন করিয়াছেন, পিতা যেন আমাদের নিমিত্ত কিছুমাত্র শোক বা দুঃখ প্রকাশ না করেন। আমরা তাহার চরণগ্রসাদে অরণ্যে পরমসুখে কালযাপন করিব। আমাদের জন্য কোন চিন্তা নাই । দশরথ শ্রবণমাত্র, দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগপূর্বক রোদন করিতে করিতে কহিলেন সুমন্ত্ৰ! বিরত হও ; আর বলিবার অবশ্যকতা নাই। আমার হৃদয় অনুতাপানলে छन्गैौडूड झझेज ! হা বৎস রামচন্দ্ৰ ! হা বৎস লক্ষ্মণ ! হা বৎসে সীতে ! তোমরা এখন কোথায় রহিয়াছ। কটককঙ্করাকীর্ণ দুর্গমবনে কেমন ,করিয়া ভ্রমণ করিতেছ। অাতপতাপে মুখ-চন্দ্র মলিন হইলে, স্নেহনয়নে কে তোমাদের মুখনিরীক্ষণ করিতেছে । পিপাসিত হইলে, কে তোমাদিগকে জলদান করিতেছে । ক্ষুধার উদ্রেক হইলে, কে তোমাদিগকে আহার করাইতেছে । হা বৎস রামচন্দ্র ৷ একবার আসিয়া এ