পাতা:রাম অভিষেক নাটক.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వ8 রাম-অভিষেক নাটক । এবং সেই ভুরাত্মার মস্তক ভুর্গ প্রাচীরে লৌহ শলাকায় বিদ্ধ করে শকুনীর ভক্ষার্থে প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ দিব। “রামের বনবাসা" এমন কথা কোন ভুরাত্মা মুখে আনবে ? বড় মা ! আপনি ভুঃখ কোরবেন না, অগ্রজ যাই বলুন, কে ওঁকে বনবাস দেয় সেইটে আমি দেখতে চাই । সুমিত্ৰা । বাবা লক্ষণ ! তোর কথায় আমাদের হৃদয়ে ষেন অমৃত বরিষণ হলো, বাবা রাম আমার বনে যাবে, একথা যার মুখ হোতে উচ্চারিত হলো, সেই মুখ মা কালা পুড়িয়ে দিন, আর কি বোল বো, দিদি ! বৎস লক্ষণের কথা শুনলে ? কৌশল্য । বাবা রাম ! দেখ দেখি, লক্ষণ তোর কনিষ্ঠ, কিন্তু ওর এর মধ্যেই কেমন বিবেচনা শক্তি হয়েছে, বাবা ! তুমি তাই কর, প্রজারা সব তোমার, কেন তুমি শত্রুর মুখোজল করতে উদ্যত হয়েছ ? : লক্ষণ । দাদা মহাশয়! আপনি কি বলেন ? রাম । ভাই লক্ষণ তুমি যে প্রস্তাব করলে, ওটি স্ত্রীলোকের মনরঞ্জনীয় বটে এবং আমার প্রতি তোমার প্রগাঢ় ভাল বাসার চিহ্নও বটে,- কিন্তু ভাই ! এটি বিবেচনা করা উচিত, ষে জীবগণ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হলেই তিন ঋণে জড়িত হুয়, তন্মধ্যে পিতৃঋণ সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, ঐ তিন ঋণে মুক্তি লাভ করা সকলের ভাগ্যে ঘটে না, কিন্তু আজ আমার সেই সুখময় কাল উপস্থিত, অতএব ষদ্যপিও অামি রাজ্যধনে বঞ্চিত হচ্ছি, তত্ৰাচ এ আমার কতদূর সৌভাগ্যের বিষয়, যে পিতা আমার দ্বারা সত্যপাশে মুক্তি লাভ করবেন । স্বীকার কোর লেম যে তিনি জননী কৈকেয়ীকে আমার রাজ্যচ্যুত বা নিৰ্ব্বাসন বিষয় প্রতিজ্ঞ