পাতা:রাশিয়ার চিঠি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 একটি ছেলে বললে, “সেও দুঃখিত হয় আমরাও দুঃখিত হই, বাস্, চুকে যায়।”

 আমি বললুম, “মনে করে। কোনাে ছেলে যদি ভাবে তার প্রতি অযথা দোষারােপ হচ্ছে তাহলে তােমাদের উপরেও আর-কারাে কাছে কি সে-ছেলের আপিল চলে।”

 ছেলেটি বললে, “তখন আমরা ভােট নিই—অধিকাংশের মতে যদি স্থির হয় যে, সে অপরাধ করেছে তাহলে তার উপরে আর কথা চলে না।”

 আমি বললুম, “কথা না চলতে পারে, কিন্তু তবু ছেলেটি যদি মনে করে অধিকাংশই তার উপরে অন্যায় করছে তাহলে তার কোনাে প্রতি-বিধান আছেকি।”

 একটি মেয়ে উঠে বললে,“তাহলে হয়তাে আমরা শিক্ষকদের পরামর্শ নিতে যাই—কিন্তু এরকম ঘটনা কখনও ঘটে নি।”

 আমি বললুম, “যে-একটি সাধনার মধ্যে সকলে আছ সেইটেতেই আপনা হতেই অপরাধ থেকে তােমাদের রক্ষা করে।”

 ওদের কর্তব্য কী প্রশ্ন করতে বললে, “অন্য দেশের লােকেরা নিজের কাজের জন্য অর্থ চায় সম্মান চায়, আমরা তার কিছুই চাই নে, আমরা সাধারণের হিত চাই। আমরা গাঁয়ের লোকদের শিক্ষা দেবার জন্যে পাড়াগাঁয়ে যাই, কী করে পরিষ্কার হয়ে থাকতে হয়, সকল কাজ কী করে বুদ্ধিপূর্বক করতে হয় এই সব তাদের বুঝিয়ে দিই। সময়ে আমরা তাদের মধ্যে গিয়েই বাস করি। নাটক অভিনয় করি, দেশের অবস্থার কথা বলি।”

 তার পরে আমাকে দেখাতে চাইলে কাকে ওরা বলে সজীব সংবাদপত্র। একটি মেয়ে বললে, “দেশের সম্বন্ধে আমাদের অনেক খবর

৪১