সে-মানুষকে মানুষ উপকার ক’র্তে অক্ষম। অস্তত যখনই নিজের স্বার্থে এসে ঠেকে তখনই মারামারি কাটাকাটি বেধে যায়। রাশিয়ায় একেবারে গোড়া ঘেঁষে এই সমস্যা সমাধান কর্বার চেষ্টা চ’ল্চে। তা’র শেষ-ফলের কথা এখনও বিচার কর্বার সময় হয় নি, কিন্ত আপাতত যা চোখে প’ড়্চে তা দেখে আশ্চর্য্য হ’চ্চি। আমাদের সকল সমস্যার সব চেয়ে বড়ো রাস্তা হ’চ্চে শিক্ষা। এতকাল সমাজের অধিকাংশ লোক শিক্ষার পূর্ণসুযোগ থেকে বঞ্চিত—ভারতবর্ষ তো প্রায় সম্পূর্ণই বঞ্চিত। এখানে সেই শিক্ষা কী আশ্চর্য্য উদ্যমে সমাজের সর্বত্র ব্যাপ্ত হ’চ্চে তা দেখলে বিস্মিত হ'তে হয়। শিক্ষার পরিমাণ শুধু সংখ্যায় নয়, তা’র সম্পূর্ণতায়, তা’র প্রবলতায়। কোনো মানুষই যাতে নিঃসহায় ও নিষ্কর্ম্মা হ’য়ে না থাকে এ জন্যে কী প্রচুর আয়োজন ও কী বিপুল উদ্যম। শুধু শ্বেত রাশিয়ার জন্যে নয়—মধ্য এসিয়ার অর্দ্ধ-সভ্য জাতের মধ্যেও এরা বন্যার মতো বেগে শিক্ষা বিস্তার ক’রে চ’লেচে—সায়ন্সের শেষ ফসল পর্য্যন্ত যাতে তা’রা পায়, এইজন্যে প্রয়াসের অস্ত নেই। এখানে থিয়েটারে অভিনয়ে বিষম ভিড়, কিন্তু যারা দেখ্চে তা’রা কৃষি ও
পাতা:রাশিয়ার চিঠি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৩১).pdf/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪
রাশিয়ার চিঠি