কর্ম্মীদের দলের। কোথাও এদের অপমান নেই। ইতিমধ্যে এদের যে ছুই একটা প্রতিষ্ঠান দেখ্লুম সর্ব্বত্রই লক্ষ্য ক’রেচি এদের চিত্তের জাগরণ এবং আত্মমর্য্যাদার আনন্দ। আমাদের দেশের জনসাধারণের তো কথাই নেই—ইংলণ্ডে মজুর-শ্রেণীর সঙ্গে তুলনা ক'র্লে আকাশ-পাতাল তফাৎ দেখা যায়। আমরা শ্রীনিকেতনে যা ক’র্তে চেয়েচি এরা সমস্ত দেশ জুড়ে প্রকৃষ্টভাবে তাই ক’র্চে। আমাদের কর্ম্মীরা যদি কিছুদিন এখানে এসে শিক্ষা ক’রে যেতে পার্তো তাহ’লে ভারি উপকার হ’তো। প্রতিদিনই আমি ভারতবর্ষের সঙ্গে এখানকার তুলনা ক’রে দেখি আর ভাবি কী হ’য়েচে আর কী হ’তে পার্তো। আমার আমেরিকান সঙ্গী ডাক্তার হ্যারি টিম্বর্স এখানকার স্বাস্থ্য বিধানের ব্যবস্থা আলোচনা ক'র্চে—তা’র প্রকৃষ্টতা দেখ্লে চমক লাগে—আর কোথায় পশড়ে আছে রোগতপ্ত অভূক্ত হতভাগ্য নিরুপায় ভারতবর্ষ। কয়েক বৎসর পুর্বে ভারতবর্ষের অবস্থার সঙ্গে এদের জনসাধারণের অবস্থার সম্পূর্ণ সাদৃশ্য ছিল—এই অল্পকালের মধ্যে দ্রুতবেগে বদলে গেচে—আমরা প’ড়ে আছি জড়তার পাঁকের মধ্যে আকণ্ঠ নিমগ্ন।
পাতা:রাশিয়ার চিঠি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৩১).pdf/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাশিয়ার চিঠি
৫