নেমে আস্ছি আর কি! যাদের সঙ্গে কখনও আলাপ কর্বারও সুযোগ পাইনি, তাঁরাও আমাদের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন আর অশ্রু গদ্গদ কণ্ঠে আশীষ করেছেন।—ঐ যে হাজার হাজার পুর মহিলার হৃদয় গলে’ সহানুভূতির পূত অশ্রু ঝর্ছে, ওতেই আমাদের ভবিষ্যৎ মঙ্গল সূচিত হচ্ছে!—সকলেরই দৃষ্টি আজ কত স্নেহ-আর্দ্র কোমল!······
ষ্টেশনে ষ্টেশনে এই যে উপহারের আর বিদায়-সম্ভাষণের ধূমধাম, এতে কিন্তু বড্ডো বেশী ব্যতিব্যস্ত করে ফেল্ছে!—এ সব রাজ্যের জিনিষ খাবে কে?—আহা,—না, না, এই রকম উপহার দিয়েই যদি ওরা তৃপ্ত হয়, একটা অশ্রুময় গৌরবে বক্ষ ভ’রে উঠে, তবে তাই হোক!
মন! বুঝে নাও কি জন্যে এত ভক্তি-শ্রদ্ধা। কি ঘোর দায়িত্ব মাথায় করছ! ভেবে নাও কি ঘোর দায়িত্ব মাথায় কর্ছ!
আমার কম্পিত বুকে থেকে থেকে এখনও সেই আর্ত্ত বন্দনার ঘন প্রতিধ্বনি হচ্ছে, “বন্দে মাতরম্—বন্দে মাতরম্!”
রেলগাড়ী,
নিশিভোর।—
কি সুন্দর জলে ধোওয়া আকাশ! কি স্নিগ্ধ নিঝুম নিশি ভোর! সারা প্রকৃতি এখনও তন্দ্রালস নয়নে গা এলিয়ে দিয়ে পড়ে’ রয়েছে। গোলাবী রং-এর মস্লিনের মত খুব পাতলা একটা