কি রকম চক্চক্ করছে! ও কিসের অশ্রুবিন্দু? বিদায় ব্যথার?—কে জানে!····
আজ এই প্রভাতের গ্যাসের আলোর মতই পাণ্ডুর রক্তহীন একটি তরুণ মুখ ক্ষণে ক্ষণে আমার বুকের মাঝে ভেসে উঠ্ছে! এখন যেন একটা বাষ্পময় কুয়াসার মত আধ-আলো আধ-আঁধার ভাব দেখা যাচ্ছে, ক’দিন ধরে’ তার দৃষ্টিটিও ঠিক এই রকম ঝাপ্সা সজল হয়ে উঠেছিল! সে কিন্তু কখনও কিছু বলেনি—কিছু বল্তে পারেনি—আমিও কখনও মুখ ফুটে’ কিছু বল্তে পারিনি—হাজার চেষ্টাতেও না! কি যেন একটা লজ্জামিশ্রিত কিছু আমায় প্রাণপণে চোখমুখ ঢেকে মানা করুত—না, না, না, তবু কি করে’ আমাদের দু’টি প্রাণের গোপন-কথা দুজনেই জেনেছিলুম।—ওঃ, প্রথম যৌবনের এই গোপন ভালোবাসাবাসির মাধুর্য্য কত গাঢ়! আমার বিদায় দিনেও আমি একটি মুখের কথা বল্তে পারিনি তা’কে। শুধু একটা জমাট অশ্রুখণ্ড এসে আমার বাকরোধ করে’ দিয়েছিল! সেও কিছু বলেনি, যতদিন বাড়ীতে ছিলুম, ততদিন শুধু লুকিয়ে কেঁদেছে আর কেঁদেছে! তারপর বিদায়ের ক্ষণে তাদের ভাঙা দেয়ালটা প্রাণপণে আক্ড়ে ধ’রে রক্তভরা আঁথিতে ব্যাকুল বেদনায় চেয়েছিল! আর তার তরুণ সুন্দর মুখটি এই ভোরের গ্যাসের আলোর মতই করুণ ফ্যাঁকাসে হ’য়ে গিয়েছিল!—মা যেন আমার গোপন-ব্যথার রক্ত ক্ষরা দেখেই সেদিন বলেছিলেন, “যা