পাতা:রুশ তুর্ক যুদ্ধ.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 3 ) দেওয়া হইয়াছিল। লিয়াণ্ডারের ধ্বজ নামক একটা উচ্চ প্রাসাদ আছে এইস্থানে পূৰ্ব্বতন স্থলতানগণ, সৈন্য দিগের বল ও যুদ্ধ নৈপুণ্য দর্শন করিতেন । কনষ্ঠান্টিনোপলের নিকটবৰ্ত্তীর্ণ উপনগর সমূহের মধ্যে ৩৪টা অতিন্থদুখ স্থান আছে। তন্মধ্যে ডম্লাগি বাগিচি নামক স্থান মুলতানের শীতকালের তাবাস মন্দির । এই স্থানেই গতবৎসর মহারাণীর প্রতিনিধি মাকু ইস্ অবশ্বালিস্ বরি পূর্বরাজ্যের গোলযোগ নিবারনার্থ স্থলতানের সাক্ষাৎ লাভের অনুমতি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । তুরুষ্কের রাজধানী পরিত্যাগ করিয়া তামরা এক্ষণে একবার রুশীয় রাজধানী সেন্টপিটসবগের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করি । রুশীয় সম্রাট গ্রেট্রপিটর অতি অপ সময়ের মধ্যে স্বকীয় কাৰ্য্যকারিত ও পরিশ্রম শক্তি প্রভাবে এইনগর স্থাপন ও বিবিধ কারু ও শিল্পকার্য্যে স্থদশ্ব করিয়া প্রস্তুত করেন। পূর্বে এইস্থান অতিশয় অপরিস্কৃত, জঙ্গল ও কর্দম ময় ছিল, পরে ১৭০৩ খৃঃ অব্দে ইহার নির্মাণ কাৰ্য্যারস্তুহয় । এইনগর নিভা নদীর উত্তরতীরে অবস্থিত । পুর্বে জলপ্লাবনে নগর ভাসিয়া যাইত জন্য একটা প্রকাগু বাধদ্বারা তাহার প্রতিবিধান করাহইয়াছে। সেন্ট আইজাক ক্যাথিড্রাল মন্তমেন্টে উঠিয় চতুর্দিকে দৃষ্টিপাত করিলে নগরের শোভা দেখিয়া মোহিত হইতে হয় । বিদ্যামন্দির, বিজ্ঞানমন্দির, সৈন্য বিদ্যালয়, চিকিৎসা বিদ্যালয়, ও অন্যান্য অনেক কাৰ্য্যস্থান ও দেবমন্দির প্রভৃতি অভি হুদৃশ্ব বলিয়া গণ্য। রুশেরা অন্যান্য ইউরোপীয়ান জাতি অপেক্ষা পারিবারিক মুখে অধিকতর সুখী । পিতা মাতার প্রতি ভক্তি ; সন্তানের ও স্ত্রীর প্রতি গ্রেহ ও বাৎসল্য ভাব ইহাদের অপেক্ষ কৃত অধিক