পাতা:রুশ তুর্ক যুদ্ধ.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २१ ) ও ইদিল ফেতর ও ই দুজ্জোহা উপলক্ষে প্রধান প্রধান মস্জিদে র্তাহার নামে খুটৰা পাঠ করে। প্রায় সমস্ত শ্ৰেণীয় স্থ সলমানেরাই কায়মনোবাক্যে ঈশ্বরের নিকট তুর্দীর মুক্তির জন্য প্রার্থনা করিতেছে। এমন কি যথাসাধ্য অর্থ সাহায্য দানেও কুষ্ঠিত নহে। বহু দিবস হইতেই সিয়া ও মুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যত নাই কিন্তু এ ঘটনায় সেই উভয় বিরুদ্ধ সম্প্রদামী লোকেই একত্রিত হইয়া কায়মনোবাক্যে তুর্দীর সাহায্য করিতেছে। যুদ্ধের সংবাদ অবগত হইবার ইচ্ছ কেবল শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেই যে বলবতী এনত নহে সাধারণ শ্রেণীর লোকেও যুদ্ধের সংবাদ জানিবার জন্য সৰ্ব্বদাই তাগ্রহাতিশয় প্রদশন করিয়! থাকে। বাঙ্গলা সংবাদ পত্রের সম্পাদকের অনেকেই রিউটার কর্তৃক প্রদত্ত তারের খবর প্রচার করিতেছেন। এই বিষয়ে অমৃত বাজার পত্রিকাই সৰ্ব্বাগে পথ প্রদর্শন করিয়াছেন তিনি প্রথমাবধিই মুসলমান দিগের পক্ষ সমর্থন করিয়া স্বদেশ বাসৗদিগকে তুর্কীর সাহায্য প্রদানে উদ্যোগী করিতে ও ঈশ্বরের নিকট তুর্কীর মঙ্গল প্রার্থনা করিতে ক্রট করেন নাই। অন্যান্য অনেক সম্পাদকই রুশীয়ার পক্ষ সমর্থন করিয়া তুর্কীকে মনুষ্য শ্রেণী হইতে দূর করিয়াছিলেন কিন্তু এক্ষণে ক্রমাগত তুৰ্কীর জয়লাভ দৃষ্টে অনেকেই তুৰ্কীর পক্ষ অবলম্বন করিয়াছেন। এক্ষণে প্রাত্যহিক আনীত সংবাদে তুর্কীর অমজল সংবাদে সাধারণেই দুঃখিত ও মঙ্গল সংবাদে জয়ধ্বনীতে অনিন্দ প্রকাশ করিতে থাকে। কেবল কলিকাতা, বোম্বাই বা মান্দ্রাজ নগর ভিন্ন অন্য অনেকানেক প্রধান প্রধান নগরীতেও তুর্কীর সাহায্যার্থ চাদ সংগ্রহ করিতে সিয়া ও স্থন্নি